কুনোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের পর এ বার ভারতে নতুন দু’টি ঘর পেতে চলেছে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা চিতারা। মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতের বান্নি তৃণভূমি হবে তাদের নতুন ডেরা। সোমবার মোদীর উপস্থিতিতে গুজরাতের শাসনগিরে জাতীয় বন্যপ্রাণ পর্ষদ (এনবিডব্লিউএল)-এর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এশীয় সিংহের এক মাত্র প্রাকৃতিক আবাসস্থল গির জাতীয় উদ্যান লাগোয়া শাসনগিরে এনবিডব্লিউএলের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তবে আফ্রিকা থেকে কতগুলি চিতা এনে কবে ওই দুই সংরক্ষিত এলাকায় ছাড়া হবে সে বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই বৈঠকে গুজরাতে সিংহ সংরক্ষণের জন্য ৩০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে।
গজরাতের কচ্ছ জেলার ২,৫০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত বান্নি তৃণভূমি বিরল বিড়াল গোত্রের প্রাণী ক্যারাকেলের আবাসস্থল। কিন্তু সেটি হরিণ, অ্যান্টিলোপ জাতীয় বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি বছরভর পালিত গবাদি পশুরও চারণভূমি। অন্য দিকে, মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌর এবং নিমুচ জেলা জুড়ে গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যের অবস্থান। সেখানে ইতিমধ্যেই ৩৬৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে চিতাদের মূল আবাসস্থল। সেই এলাকাকে ঘিরে রাখবে অতিরিক্ত ২,৫০০ বর্গকিলোমিটার ‘বাফার’ এলাকা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতা ভারতে আনা হয়েছিল। কুনোর জঙ্গলে তাদের খাঁচা উন্মুক্ত করেছিলেন স্বয়ং মোদী। এর পর ২০২৩ ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল আরও ১২টি। পরবর্তী সময় তারা ১২টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত পূর্ণবয়স্ক এবং শাবক মিলে ১১টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। ফলে ভারতের মাটিতে আফ্রিকার চিতার টিকে থাকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কুনোয় চিতার মৃত্যু ঠেকাতে ব্রিটেন এবং আমেরিকার কয়েক জন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, উত্তর আফ্রিকা থেকে চিতা আনা হলে তা ভারতের আবহাওয়ার পক্ষে উপযুক্ত হবে।