(বাঁ দিক থেকে) মহুয়া মৈত্র, ওম বিড়লা এবং অধীর চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
‘টাকা নিয়ে প্রশ্ন’ করার ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ সংক্রান্ত রিপোর্ট সোমবার লোকসভায় জমা করতে পারে এথিক্স কমিটি। কিন্তু তার আগেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। চিঠিতে তিনি মহুয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সংসদীয় কমিটিগুলির নিয়ম এবং পদ্ধতিগুলির পর্যালোচনা করার দাবি জানিয়েছেন।
লোকসভার স্পিকারকে চার পাতার একটি চিঠি দিয়েছেন অধীর। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, স্বাধিকাররক্ষা কমিটি এবং এথিক্স কমিটির ভূমিকা কী তা স্পষ্ট নয়। এ ছাড়াও কোনটি ‘অনৈতিক আচরণ’ তার কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চিঠিতে অধীর এটাও জানান যে, ‘টাকা নিয়ে প্রশ্ন’ করার ঘটনাটি নিয়ে যখন তদন্ত চলছে, সেটি সম্পূর্ণ গোপন থাকার কথা। যে হেতু এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। কিন্তু এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান এবং সদস্যেরা বিষয়টি গোপন না রেখে বিষয়টি শুধু প্রকাশ্যেই আনেননি, তা নিয়ে নিজেদের মতো মতামতও দিচ্ছেন।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ঘিরে বিতর্ক যখন ক্রমশ ঘনীভূত হতে শুরু করে, তখন তাঁর পাশে দাঁড়ান অধীর। আনন্দবাজার অনলাইনকে অধীর বলেছিলেন, ‘‘আমি মনে করি না মহুয়া মৈত্র কোনও ভুল করেছেন। সাংসদ প্রশ্ন তুলবেনই। কিন্তু অপছন্দের প্রশ্ন হলে তাঁর মুখ বন্ধ করা হবে এটা কোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হতে পারে না।’’ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, ‘‘কোনও সরকারের উচিত নয় কোনও এক জন বা দু’জন শিল্পপতির পাশে দাঁড়ানো।’’
এথিক্স কমিটি গত ৯ নভেম্বরের বৈঠকে ‘টাকা নিয়ে প্রশ্ন’ করার অভিযোগে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করার সুপারিশ করে রিপোর্ট তৈরি করে। সেই রিপোর্টই সোমবার জমা পড়তে চলেছে সংসদের নিম্নকক্ষে। তার আগেই লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে কার্যত মহুয়ার পাশে দাঁড়ালেন অধীর।