কৃষক আন্দোলনে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ অধীর চৌধুরীর। —ফাইল চিত্র।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করায় কেন্দ্রের রোষানলে পড়েছেন গ্রেটা থুনবার্গ, রিহানারা। গ্রেটা যে সংস্থার ‘টুল কিট’শেয়ার করেছিলেন তাঁর টুইটে, সেই সংস্থার বিরুদ্ধে আবার এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। এই ইস্যুতেই কেন্দ্রকে কটাক্ষ করলেন অধীর চৌধুরী। আন্তর্জাতিক মহলে সমাজকর্মী কিংবা গায়করা টুইট করায় এত গাত্রদাহ কেন হচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দদলনেতা। নরেন্দ্র মোদীর ‘আব কি বার ট্রাম্প সরকার’-স্লোগান দেওয়া নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর।
সেপ্টেম্বরে সংসদে পাশ হওয়া তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লিতে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে ধর্নায় বসে আছেন কৃষকরা। সুপ্রিম কোর্ট তিনটি বিলে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু বিল প্রত্যাহার করতে নারাজ মোদী সরকার। অন্য দিকে কৃষকরাও অবস্থানে অনড়। আন্তর্জাতিক মহলেও সাড়া পড়েছে এই আন্দোলনে। আমেরিকার পপ তারকা রিহানা প্রথমে টুইট করে গোটা বিশ্বের নজর কাড়েন। তার পর সুইডেনের পরিবেশকর্মী থুনবার্গ বৃহস্পতিবারই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে টুইট করেছেন। তার পর দিল্লি পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। তার পরেও অবস্থানে অনড় থেকে থুনবার্গ ঘোষণা করেছেন, যাই হোক, তিনি কৃষক আন্দোলনের পাশেই দাঁড়াবেন। বিজেপি নেতারা থুনবার্গকে ‘বাচ্চা মেয়ে’ বলেও ব্যাঙ্গ করেছেন।
কেন্দ্রের এই মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করেছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রসঙ্গ টেনে টুইটে অধীরের খোঁচা, ‘আমাদের কিছু দেশপ্রেমিক আমেরিকায় গিয়ে বলেছিলেন ‘অব কি বার, ট্রাম্প সরকার’। এর মানে কী? জর্জ ফ্লয়েডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা যখন সমস্বরে প্রতিবাদ করেছিলাম, তখন তো কেউ প্রশ্ন তোলেননি। এখন যখন রিহানা, থুনবার্গরা আমাদের দেশের কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তখন কেন এত বিরক্ত হচ্ছি’?
বিশ্বনাগরিকের কথা বলে অধীরের বক্তব্য, ‘পৃথিবী একটা গ্রাম এবং আমরা সবাই তার নাগরিক। তা হলে কোনও সমালোচনায় আমরা ভয় পাব কেন? এটা নিয়ে ভাবা দরকার’। মোদী সরকারকে নিশানা করে অধীর আরও বলেছেন, ‘আপনারা এই কৃষকদের ফলানো ফসল খেয়ে বড় হয়েছেন। ওঁরা অন্নদাতা। আপনাদেরও উচিত, কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন করা’।