১ এপ্রিল, শনিবার আদানির সংস্থার তরফে ঘোষণা করেছে, ১,৪৮৫ কোটি টাকা দিয়ে দেউলিয়া আইনে দক্ষিণের এই বন্দর তারা অধিগ্রহণ করেছে। — ফাইল ছবি।
এ বার করাইকাল বন্দর অধিগ্রহণ করল গৌতম আদানির সংস্থা আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনোমিক জোন লিমিটেড (এপিএসইডেজ)। ১ এপ্রিল, শনিবার তারা ঘোষণা করেছে, ১,৪৮৫ কোটি টাকা দিয়ে দেউলিয়া আইনে দক্ষিণের এই বন্দর তারা অধিগ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশের ১৪টি বন্দর এখন আদানিদের দখলে।
জানা গিয়েছে, করাইকাল বন্দর দখলের পরিকল্পনায় আদানিদের সম্মতি দিয়েছে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)-এর চেন্নাই বেঞ্চ। করাইকাল বন্দরের ১০ লক্ষ শেয়ার আদানিদের সংস্থার হাতে গিয়েছে। প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০ টাকা। তার জেরে এই বন্দরের মালিক এখন শুধুই আদানির সংস্থা এপিএসইডেজ।
এপিএসইডেজ-এর সিইও করণ আদানি জানিয়েছেন, করাইকাল বন্দর অধিগ্রহণের পর তাদের সংস্থাই দেশের সর্ববৃহৎ পরিবহণ উপযোগী সংস্থা। এই বন্দরে আরও ৮৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আধুনিকীকরণ করা হবে। এর ফলে উপভোক্তাদের পণ্য পরিবহণের খরচ কমবে। আগামী ৫ বছরে এই বন্দরের ক্ষমতাও দ্বিগুণ করা হবে।
ভারতের পূর্ব উপকূলের এই বন্দরে সব ঋতুতে নাব্যতা থাকে। চেন্নাই থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে পুদুচেরির করাইকাল জেলায় ২০০৯ সালে এই বন্দর তৈরি করা হয়। পুদুচেরি সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা মিলে তৈরি করেছিল বন্দর। চেন্নাই এবং তুতিকোরিনের মাঝে এটাই এক মাত্র গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এই বন্দরের মাধ্যমে মূলত কয়লা, সিমেন্ট, সার, চুনাপাথর, ইস্পাত, তরল পণ্য পরিবহণ করা হয়।