ধারাভি বস্তির উন্নয়নের বরাত পেল আদানি গোষ্ঠী। ফাইল ছবি।
মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তির উন্নয়নের বরাত পেল আদানি গোষ্ঠী। ৫ হাজার ৬৯ কোটি টাকায় এই প্রকল্পের বরাত পেয়েছেন আদানিরা। ধারাভির উন্নয়নের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই।
ধারাভি বস্তির উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি টেন্ডার ডেকেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। মোট ৩টি গোষ্ঠী তাতে আগ্রহ প্রকাশ করে। আদানি গোষ্ঠী ছাড়াও ছিল ডিএলএফ এবং নমন গ্রুপ। তবে প্রযুক্তিগত কারণে নমন গ্রুপ পিছু হঠতে বাধ্য হয়। মূল লড়াই চলে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে ডিএলএফ-এর। ধারাভি বস্তির জন্য ২ হাজার ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে রাজি ছিল ডিএলএফ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৯ কোটি টাকার বরাত নেওয়ার ডাক (বিড) দিয়ে তা জিতে নেন আদানিরা।
ধারাভি উন্নয়ন প্রকল্পের সিইও এসভিআর শ্রীনিবাস বলেন, ‘‘আমরা এ বার রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিয়ে ধারাভির জন্য একটি স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিএস) গঠন করব।’’
ধারাভি এশিয়ার বৃহত্তম বস্তিগুলির মধ্যে অন্যতম। গত ১৫ বছর ধরে এই বস্তির উন্নয়নের কাজ আটকে রয়েছে নানা কারণে। আদানি গোষ্ঠীর হাত ধরে অবশেষে ধারাভির উন্নয়ন এবং বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হবে।
ধারাভি উন্নয়ন প্রকল্পটি মোট ২০ হাজার কোটির। আগামী ১৭ বছরে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চায় মহারাষ্ট্র সরকার। ধারাভির বাসিন্দাদের পুনর্বাসন আগামী ৭ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে প্রায় ১ কোটি বর্গফুট এলাকা।
গত ১৫ বছরে মহারাষ্ট্র সরকার অন্তত ৪ বার ধারাভি বস্তির উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার ডেকেছে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। মধ্য মুম্বইয়ে প্রায় ৩০০ একর জমি নিয়ে বিস্তৃত এই বস্তি এলাকা। এখানে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ বাস করেন। কোভিড অতিমারির সময় এই বস্তিতে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল।