হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিল আদানি গোষ্ঠী। ছবি: সংগৃহীত।
আমেরিকান সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিল আদানি গোষ্ঠী। সংস্থার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগও আনল তারা। আদানি গোষ্ঠীর দাবি, এই রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতের উপর ‘পরিকল্পিত হামলা’ করা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে ভারতীয় সংস্থার বদনাম করাই হিন্ডেনবার্গের মূল উদ্দেশ্য।
আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর রিপোর্টে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে ‘জালিয়াতি’ করে ধনী হয়েছেন আদানিরা। ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি কারচুপি করে শেয়ারের দর বাড়িয়েছেন। এই অভিযোগের পর থেকেই শেয়ার বাজার তোলপাড়। সোমবার বাজার খোলার আগে পর্যন্ত হু হু করে পড়েছে আদানিদের শেয়ারের দর। বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সংস্থা।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টটি ছিল ৩২ হাজার শব্দের। তার পরিপ্রেক্ষিতে ৪১৩ পাতার জবাব দেন আদানিরা।
রবিবার আদানি গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকার সংস্থার অভিযোগ মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। হিন্ডেনবার্গ যে ৮৮টি প্রশ্ন করেছিল, তার মধ্যে ৬৮টি প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে এই প্রশ্নগুলি জনগণের নজর অন্য দিকে ঘোরানোর জন্যই করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে আদানি গোষ্ঠী।
মঙ্গলবার হিন্ডেনবার্গের প্রকাশিত রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে কারচুপির নানা অভিযোগ আনা হয়েছিল। রবিবার ৪১৩ পাতার জবাবে সেই অভিযোগ খণ্ডন করে আদানি গোষ্ঠী। তাদের জবাবে বলা হয়েছে, ভারতীয় আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে আমেরিকার সংস্থার সম্যক ধারণা নেই। ভারতের বাজারে পুঁজি সংগ্রহের প্রক্রিয়া কী ভাবে এগোয়, তা-ও জানে না ওই সংস্থা। হিন্ডেনবার্গের এই ‘অজ্ঞানতা’র উদাহরণও দিয়েছেন আদানিরা।
হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, গত কয়েক বছরে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার মুখ্য অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা (সিএফও) পদত্যাগ করেছেন। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, ওই কর্তারা সংস্থার সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন। বৃহত্তর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। পদত্যাগ করেননি কেউ।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির সম্পত্তিহানি হয়েছে। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় এক ধাক্কায় ৪ ধাপ নেমে গিয়ে সপ্তম স্থানে চলে এসেছেন তিনি।