দক্ষিণী অভিনেতা বিশাল। ছবি— সংগৃহীত।
তামিল অভিনেতা বিশালের প্রযোজনা সংস্থার অফিসে আয়কর দফতরের অফিসারদের হানা?‘মের্সাল’ ছবি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, সোমবার চেন্নাইতে বিশালের প্রযোজনা সংস্থা বিশাল ফিল্ম ফ্যাক্টরিতে নাকি অভিযান চালিয়েছেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সেন্ট্রাল এক্সাইজ ইন্টেলিজেন্সের অফিসাররা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে সেই অভিযান।
আরও পড়ুন, পর্দায় জিএসটি-র নিন্দা করে গৈরিক কোপে ‘মের্সাল’
আরও পড়ুন, সাহস কী করে হয়? বিজেপি নেতাকে তোপ ফারহানের
অভিনেতা বিশাল আপাতত শুটিংয়ের কাজে শহরের বাইরে রয়েছেন। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর অফিসে কোনও অভিযান চালানো হয়নি। শুধুমাত্র টিডিএস জমা না দেওয়ার জেরে কয়েকজন অফিসার সেখানে গিয়েছিলেন।
দ্য কুইন্টের খবর অনুযায়ী, আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা টিডিএস জমা করেননি অভিনেতা। সে কারণে বিশালকে আগামী শুক্রবার আয়কর দফতরে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দ্য বিশাল ফিল্ম ফ্যাক্টরি তৈরি হয়েছে ২০১৩ সালে। এখনও পর্যন্ত ছ’টি ছবির প্রযোজনা করেছে এই সংস্থা। ‘কথাকলি’, ‘নান সিগাপ্পু মণিথান’, ‘অম্বালা’— ছবিগুলিতে অভিনয় করেছিলেন বিশাল নিজেই।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, তামিলনাড়ু ফিল্ম প্রোডাকশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিশাল। অভিনেতা অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি নেতা এইচ রাজা ‘মের্সাল’ ছবির পাইরেটেড ভার্সান দেখেছেন।
যদিও বিজেপি নেতা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে এর পরই গুঞ্জন শুরু হয়, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলার জেরেই বিশালের প্রযোজনা সংস্থার অফিসে আয়কর হানা চালানো হয়েছে।
দ্য হিন্দুর খবর অনুযায়ী, পাইরেসি রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে বিশালের। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিশাল বলেছেন, ‘‘এক জন দায়িত্বপূর্ণ দেশবাসী, সত্যিকারের কাজ পাগল এবং কোনও কাজ করার আগে দু’বার ভেবে কাজ করা মানুষ হিসেবে সত্যি অবাক লাগছে, কী ভাবে এক জন রাজনৈতিক নেতা একটি ছবির পাইরেটেড ভার্সান দেখতে পারেন।’’বিজেপি নেতার ক্ষমাপ্রার্থনারও দাবি তুলেছেন বিশাল।
তামিল ছবি ‘মের্সাল’-এ জিএসটি চালু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সমালোচনা করে বেশ কয়েকটি দৃশ্য এবং সংলাপ রয়েছে। কয়েকদিন আগে সে বিষয়ে আলোচনা করতে একটি জাতীয় টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাত্কারে যোগ দিয়েছিলেন জি ভি এল এন রাও। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘যে কোনও ক্ষেত্রেই, দেশের বেশিরভাগ অভিনেতাদের সাধারণ জ্ঞান এবং বুদ্ধিসুদ্ধি অত্যন্ত কম।’’ অভিযুক্ত নেতা এইচ রাজাও রয়েছেন সেই তালিকায়।