অভিযোগ, গত ১৮ মে ২৭ বছরের তরুণীকে গলা টিপে খুন করেন তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালা। — ফাইল ছবি।
মা হতে চেয়েছিলেন শ্রদ্ধা ওয়ালকর। চেয়েছিলেন সুখী পরিবার। জানালেন এক সমাজকর্মী, যাঁর সঙ্গে অতীতে মুম্বইতে দেখা হয়েছিল শ্রদ্ধার। অভিযোগ, গত ১৮ মে ২৭ বছরের তরুণীকে গলা টিপে খুন করেন তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালা। এর পর দেহ ৩৫ টুকরো করে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন।
মুম্বইয়ের জুহু সৈকত পরিষ্কারে উদ্যোগী ছিলেন এক দল সমাজকর্মী। সেখানে গিয়েই শ্রদ্ধার সঙ্গে আলাপ হয় সমাজকর্মী শ্রেহা ধারগালকারের। শ্রেহার কথায়, ‘‘নিজের বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলেননি শ্রদ্ধা। কিন্তু ও খুব শান্ত, মিষ্টি মেয়ে ছিলেন। সন্তান চান, পরিবার চান বলে জানিয়েছিলেন তিনি।’’
আদতে মুম্বইয়েরই মেয়ে ছিলেন শ্রদ্ধা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আফতাবও চাকরি করতেন মুম্বইয়ের এক কল সেন্টারে। সেখানে চাকরি করতে করতেই একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। এর পর দু’জনে একই কল সেন্টারে কাজ শুরু করেন। শ্রদ্ধার পরিবার এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানান। গত এপ্রিলের শেষে দু’জনে দিল্লি গিয়ে লিভ-ইন শুরু করেন।
চলতি মাসেই শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকর মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হন। এর পরেই মুম্বই পুলিশ শ্রদ্ধার ফোনের তথ্য খতিয়ে জানতে পারে, দিল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি। তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশ। শনিবার গ্রেফতারের পর আফতাব স্বীকার করেন, বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন বলেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ঘরে খুন করে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করেছিলেন, সেখানেই রোজ রাতে ঘুমোতেন আফতাব। রোজ রাতে ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার মুখ দেখতেন। দেহের সব টুকরো ফেলে দেওয়ার পর ফ্রিজটি ধুয়েমুছেও রেখেছিলেন আফতাব। আরও জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার আগে আরও অনেক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আফতাবের।