দাদরির আখলাখ-কাণ্ডের ছায়া সিওনিতে। ছবি: সংগৃহীত।
গো-হত্যার অভিযোগে মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুই গ্রামবাসীকে পিটিয়ে খুন করা হল। হামলাকারীদের মারে গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক জন। সিওনি জেলার ওই ঘটনার জেরে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে সে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেসের মধ্যে। ঘটনার পিছনে ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরির মহম্মদ আখলাখ-কাণ্ডের ছবি দেখছেন অনেকে।
সিওনির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস কে মোরাভি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘একটি গরুকে মাংসের জন্য মেরে ফেলার অভিযোগ তুলে আদিবাসী মহল্লায় হামলা চালায় জনা কুড়ি সশস্ত্র দুষ্কৃতী। তাঁদের মারে দু’জন মারা গিয়েছেন। এক জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তদের মধ্যে ছ’জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে, তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।’’ হতাহতদের বাড়ি থেকে প্রায় ১২ কিলোগ্রাম মাংস উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। যদিও হামলায় আহত ব্রজেশ বট্টি গো-হত্যার অভিযোগ মানতে চাননি। প্রসঙ্গত, ভারতের অন্য কিছু রাজ্যের মতো মধ্যপ্রদেশেও গো-মাংস নিষিদ্ধ।
ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে জবলপুর-নাগপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ হয় স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক অর্জুন সিংহ কাকোদিয়ায় নেতৃত্বে। স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বহু মানুষ অবরোধে অংশ নেন। ঘটনার পিছনে শাসকদল বিজেপি আশ্রিত স্বঘোষিত গোরক্ষক বাহিনী এবং বজরং দলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের। ঘটনার একটি ছবিও মঙ্গলবার নেটমাধ্যমে এসেছে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি।)