ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের পাঁচ মাসের মাথায় বিধানসভা ভোট হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে। নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে এই পাঁচ মাসে কাশ্মীরে রদ হয়েছে অনুচ্ছেদ ৩৭০। অসমে প্রকাশিত হয়েছে নাগরিক পঞ্জি।
মন্দার ছায়া অর্থনীতিতে। এ অবস্থায় মোদীর ধার ও ভার অটুট রয়েছে তা প্রমাণ করা যেমন বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ, তেমনই কংগ্রেসের লড়াই লোকসভা ভোটে হার এবং সভাপতি পদ থেকে রাহুল গাঁধীর ইস্তফার পরে ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়ানো।
নভেম্বরের একেবারে শুরুতেই শেষ হচ্ছে দুই রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ। আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা জানান, ‘‘দুই রাজ্যেই ভোট আগামী ২১ অক্টোবর। ফল ঘোষণা ২৪ অক্টোবর।’’ আজ ভোটের দিন ঘোষণা হতেই দু’রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে।
লোকসভা ভোট শেষ হতেই দুই রাজ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল বিজেপি। অন্য দিকে, রাহুল ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পরে কার্যত নেতৃত্বহীন কংগ্রেস দিশাহারা হয়ে পড়েছিল। এর পর সনিয়া হাল ধরলেও হরিয়ানায় বর্ষীয়ান নেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা ও সংগঠনের দায়িত্বে থাকা অশোক তনওয়ারের অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে নাজেহাল হতে হয় তাঁকে। ভারসাম্য বজায় রাখতে দলিত নেত্রী কুমারী শৈলজাকে হরিয়ানা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করলেও তাতে বিশেষ লাভ হবে না বলেই মনে করছে এবিপি নিউজ ও সি ভোটারের জনমত সমীক্ষা। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ২০১৪ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৫টি আসন, বিজেপি ৪৭টি। সমীক্ষা বলছে, এ বার বিজেপির আসন বেড়ে হবে ৭৮। কংগ্রেসের আসন ১২-তে নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে। সমীক্ষার ফলাফল অনেক সময়ে মেলে না, এই সত্য মেনে নিয়েও হরিয়ানায় কংগ্রেসের আশা দেখছেন না প্রায় কেউই।
মহারাষ্ট্রে এনসিপির সঙ্গে জোট হলেও সেখানে ক্ষমতা ফিরে পাওয়া কার্যত অসম্ভব বলেই মেনে নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। লোকসভা ভোটের পর থেকে দুই দলেই ভাঙন জোটের পক্ষে পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে।
অন্য দিকে, বিজেপি-শিবসেনা জোটে মতপার্থক্য মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে। তবে, বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকরের দাবি, ‘‘খুব দ্রুত সমাধান সূত্র মিলবে।’’ এবিপি নিউজের সমীক্ষা জানিয়েছে, ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্রে বিজেপি একাই পেতে পারে ১৪৪টি আসন। শিবসেনা পেতে পারে ৩৯টি আসন। সেখানে কংগ্রেস, এনসিপির আসন নেমে আসবে যথাক্রমে ২১ ও ২০-তে। গত বারের চেয়ে যা অর্ধেক।