শুধু জিএসটি চালু করলেই হবে না। তার সঙ্গে আয়কর ও কর্পোরেট করেরও সংস্কার প্রয়োজন। কর্পোরেট করের হার ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির উপর কর বসাতে হবে। পরিকাঠামোয় বেশি টাকা ঢালার মতো যথেষ্ট অর্থ থাকবে কেন্দ্রের কোষাগারে। আর্থিক বৃদ্ধিকে চাঙ্গা করতে ও তার সুফল সকলের কাছে পৌঁছে দিতে আজ এমনই সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওইসিডি (অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট)।
ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের সমীক্ষা পেশ করে ওইসিডি-র সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যাঞ্জেল গুর্রিয়া বলেন, ‘‘ভারতের জনসংখ্যার মাত্র ৬ শতাংশ আয়কর জমা করেন। অন্যান্য উন্নয়নশীল অর্থনীতির তুলনায় যা খুবই কম।’’ আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় আনতে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা না বাড়ানোরই সুপারিশ করেছেন অ্যাঞ্জেল। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার বেশি হলেও ওইসিডি-র সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সংগঠিত ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থান বাড়ছে না। এই প্রশ্ন তুলে বিরোধীরাও মোদী সরকারকে নিশানা করছে। নরেন্দ্র মোদী-অরুণ জেটলির আরও দু’টি বড় দুশ্চিন্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওইসিডি। এক, বেসরকারি লগ্নিতে ভাটার টান। দুই, ব্যাঙ্কগুলির অনাদায়ী ঋণের বোঝা। ভারতে শ্রম আইন, কর ক্ষেত্রের সংস্কারের সুপারিশও করছে ওইসিডি। আর্থিক বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘‘সরকার সব চেষ্টা করছে। ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু করতে চাইছে কেন্দ্র-রাজ্য।’’