—প্রতীকী ছবি।
যৌন আঘাত বা ক্ষতের অনুপস্থিতি ধর্ষণ না হওয়ার প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগতে পারে না, ব্রিটেনের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা এই সিদ্ধান্তে আরও একবার সিলমোহর দিল। ইক্লিনিকাল মেডিসিন জার্নালে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং গ্লাসগো-লিভারপুল-ব্রিস্টল শহরের ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা বিশেষজ্ঞেরা মিলে সম্প্রতি তাঁদের এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন।
এই সমীক্ষায় তিন হাজারেরও বেশি মহিলার গত ৩০ বছরের মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে। মহিলাদের মধ্যে ধর্ষিতারা যেমন ছিলেন, তেমনই ছিলেন স্বাভাবিক যৌনজীবনে অভ্যস্ত মহিলারা। তাঁদের মেডিক্যাল রিপোর্টের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে সমীক্ষকেরা দেখিয়েছেন, ধর্ষিতাদের ক্ষেত্রে অর্ধেকের বেশি মহিলার যৌন ক্ষত ছিল না। অন্য দিকে স্বাভাবিক যৌনজীবনে অভ্যস্ত মহিলাদের ৩০ শতাংশের দেহে যৌন ক্ষত রয়েছে। সুতরাং সমীক্ষকেরা বলছেন, যৌন ক্ষতের অনুপস্থিতি সম্মতির প্রমাণও নয়, সঙ্গমের অপ্রমাণও নয়। ধর্ষণকে কেন্দ্র করে যে নানা ‘মিথ’ চালু আছে, এই সমীক্ষা তার একটির মূলে অন্তত কুঠারাঘাত করবে বলে সমীক্ষকদের আশা। এ প্রসঙ্গে ভারতের ১৯৭২ সালের মথুরা ধর্ষণ মামলার কথা মনে করা যেতে পারে। সেখানে সুপ্রিম কোর্টে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবল বেকসুর খালাস পেয়েছিল। ওই মামলার সওয়াল-জবাবে যৌন ক্ষতের অনুপস্থিতিকে ধর্ষণ প্রমাণ না হওয়ার অন্যতম বড় সাক্ষ্য হিসেবে ধরা হয়েছিল। এই রায়কে কেন্দ্র করে তার পরে আন্দোলন গড়ে ওঠে। ভারতে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনে বহু পরিবর্তন আসে ওই আন্দোলনের জেরেই।