অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে জেলে আটকে রাখার পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করলেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
সিঙ্ঘভির অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আটক নিশ্চিত করতেই ইডির পাশাপাশি সিবিআইও তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে তিহাড় জেলে বন্দি কেজরীওয়ালকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে তার পরেও জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। কারণ, ইডির করা মামলায় জামিন মিললেও সিবিআইয়ের মামলায় বন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে আপ নেতাকে। এই পরিস্থিতিতে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেজরীওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, ইডির মামলায় তাঁর মক্কেল জামিন পাওয়ার পরই সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। এর থেকেই প্রমাণ হয়, গোটা প্রক্রিয়ার পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে। সিঙ্ঘভির মতে, কেজরীওয়ালের জেলে আটকে থাকা নিশ্চিত করতেই তদন্তকারী সংস্থার তরফে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ফলে একে ‘ইনশিয়োর্যান্স অ্যারেস্ট’ বলা যেতে পারে।
সিঙ্ঘভিকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, সিবিআই ও ইডি— অভিযুক্তকে দু’টি তদন্তকারী সংস্থাই গ্রেফতার করেছে, অন্য ক্ষেত্রেও এমন উদাহরণ রয়েছে। জবাবে সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘অনেকবার কোনও ঘটনা ঘটেছে বলেই একে ঠিক মনে করা হবে— ব্যাপারটা তেমন নয়।’’ কেজরীওয়ালের আইনজীবীর মতে, কেউ যদি চারটি তারিখের কথা মাথায় রাখে, তাহলেই গোটা ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। এজন্য আইনজীবী হওয়ার প্রয়োজন নেই।
সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘তথাকথিত আবগারি কেলেঙ্কারির কথা প্রথম নথিবদ্ধ হয়েছিল ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে। তার এক বছর পর, ২০২৩ সালের মধ্যবর্তী সময়ে সিবিআই নয় ঘণ্টা ধরে কেজরীওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এরপর ২০২৪ সালের মার্চে ভোট ঘোষণার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে ইডি। আর জেলে থাকার সময়েই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।’’
সিঙ্ঘভির প্রশ্ন, সিবিআই ও ইডি কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে একই রকমের অভিযোগ এনেছে। তাহলে তাঁকে আলাদা ভাবে গ্রেফতার করার প্রয়োজন হল কেন? তাঁর কথায়, ‘‘কেজরীওয়াল কি বিমানে চড়ে পালিয়ে যেতেন নাকি সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতেন, তাহলে তাঁকে জুন মাসে গ্রেফতার করার প্রয়োজন হল কেন?’’
রাজনীতির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিঙ্ঘভি। মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০২৩ সালে নয় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর কেজরীওয়ালকে আর প্রশ্ন করেনি সিবিআই। তবে জেলে আটকে রাখা নিশ্চিত করতেই ইডির পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।