বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। —ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরায় ফেনী নদীর উপর নির্মিত মৈত্রী সেতু যে ভাবে ভারত-বাংলাদেশকে যুক্ত করেছে, ঠিক সেই ভাবে অসমের করিমগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর উপরে আর একটি সেতু নির্মিত হতে চলেছে বলে জানালেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আব্দুল মোমেন৷ তিনি জানান, সে জন্য এরই মধ্যে সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ পাশাপাশি তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভিসাহীন যাতায়াতের পক্ষপাতী বলে মন্তব্য করেছেন মোমেন।
বাংলাদেশের সিলেটে আয়োজিত তিন দিনের শিলচর-সিলেট উৎসবে মোমেন জানান, করিমগঞ্জ-জকিগঞ্জ সেতু নির্মাণের ব্যাপারে শীঘ্রই প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। ২০২১ সালের মার্চে ফেনী নদীর ওপর সাব্রুম-রামগড় মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন হয়৷ দু’মাস আগে ওই সেতু সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়৷ মোমেন বলেন, "এ ভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অধিকতর মজবুত করতে চাই৷ সে জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে৷" তাঁর কথায়, "সিলেট-শিলচর বাস যোগাযোগ সময়ের অপেক্ষা মাত্র৷ এই সময়ে রাস্তার কিছু সমস্যা রয়েছে, তা মিটে গেলেই দুই দেশে বাস সেবা চালু হয়ে যাবে৷"
বরাক উপত্যকার উপর দিয়ে দেশভাগ হলেও এই অঞ্চল থেকে যাঁরা বাংলাদেশে আসেন, তাঁদের ভিসার জন্য গুয়াহাটি বা আগরতলা যেতে হয়৷ এই সমস্যা সমাধানে শিলচরে ভিসা অফিস স্থাপনের দাবি জানায় অসমের নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি৷ বরাকবাসীর তরফে শিলচরে ভিসা কার্যালয় স্থাপনের দাবিতে মোমেন অবশ্য বেশি আগ্রহ দেখাননি৷ শুধু বলেন, তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন৷ কিন্তু ভিসাহীন ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের পক্ষপাতী বলেই মন্তব্য করেন মোমেন৷ ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিংহের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতেই বলেন, "আমরা তো ভারতের সঙ্গে অবাধ সম্পর্কই চাই৷" রাজকুমার রঞ্জন এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেননি। শুক্রবার বাংলাদেশের সিলেটে তিন দিন ব্যাপী শিলচর-সিলেট উৎসবের উদ্বোধন হয়৷ মোমেনই এর উদ্বোধন করেন৷
শনিবারের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ৷ তিনি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর কথাই বারবার উল্লেখ করেন৷ উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার ডেপুটি স্পিকার রামপ্রসাদ পাল, মেঘালয়ের সাংসদ ভিনসেন্ট পলা, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন সাংসদ স্বপন সেনগুপ্ত৷