সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, আপের পাঁচ বিধায়কই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। — ফাইল ছবি।
প্রথম বার গুজরাতের ভোটে লড়ে বড় সাফল্য পেয়েছিল আম আদমি পার্টি (আপ)। সেই সাফল্য খুব বেশি দিন আর ধরে রাখতে পারছে না কেজরীওয়ালের দল, এমনটাই জল্পনা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, আপের পাঁচ বিধায়কই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা।
চলতি বছরের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টির মধ্যে পাঁচটি আসনে জিতেছিল আপ। ওই পাঁচ আপ বিধায়কের মধ্যে তিন জনই বিজেপিতে ছিলেন। নির্বাচনে টিকিট পাননি বলে আপে যোগ দেন। এ বার শোনা যাচ্ছে, আপের টিকিটে জিতে ফের বিজেপিতে যাওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।
আপের টিকিটে জুনাগড় জেলার বিসাভাদার কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ভূপৎ ভায়ানি। তিনি যদিও বিজেপিতে যোগদানের খবর অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, দল ছাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বিজেপিরই একাংশ বলছে, ভূপতের বিজেপিতে যোগ দেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যে কথাবার্তা পাকা করে ফেলেছেন। সব ঠিকঠাক চললে রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করতে পারেন।
গুজরাতে জোর প্রচার চালিয়েছিল আপ। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সুপ্রিমো খোদ কেজরীওয়াল। একের পর এক জনসভা করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, ওই রাজ্যে বিজেপির একমাত্র প্রতিপক্ষ আপ, কংগ্রেস নয়। যদিও শেষ পর্যন্ত পাঁচটি আসনেই জিতেছে আপ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপ কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসিয়ে আদতে বিজেপিকেই সুবিধা করে দিয়েছে। সে কারণেই ১৫৬টি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেস পেয়েছে ১৭টি আসন। বিজেপির এ বারের জয় কংগ্রেসের ১৯৮৫ সালের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। ওই বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস গুজরাতে ১৪২টি আসন পেয়েছিল। এ বার আপের পাঁচ জন জয়ী বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলে বিজেপির আসন সংখ্যা আরও বাড়বে। আরও বড় ধাক্কা খাবেন কেজরী। কারণ গুজরাতে পাঁচ আসন এবং ১৩ শতাংশ ভোট জয়ের পরই কেজরী ঘোষণা করেছিলেন, আপ এখন জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে। কেজরীর সেই দাবিও যে কোনও সময় নস্যাৎ হতে পারে।