অরবিন্দ কেজরীবাল। ফাইল চিত্র।
দিল্লির পর পঞ্জাব জয় করে এ বার গুজরাতের দিকে হাত বাড়ালেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। এ বছরের শেষেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গুজরাতবাসীকে কেজরীর প্রতিশ্রুতি দিলেন ক্ষমতায় এলে তাঁর সরকার বিনামূল্যে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ দেবে। গ্রাম-শহর নির্বিশষে দেওয়া হবে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পরিষেবাও।
মাস কয়েক আগে পঞ্জাবের ভোটের আগেও এই একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেজরী। বিনামূল্য ৩০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলেছিলেন আপ প্রধান। সেই প্রতিশ্রুতিতে পঞ্জাবে কাজ হয়েছিল। বিপুল ভোটে আপ প্রার্থীরা জিতেছিলেন উত্তরের রাজ্যে। পঞ্জাবে আপ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রতিশ্রুতি পালনের প্রক্রিয়া শুরুও করে দিয়েছে। গুজরাতে কেজরীর প্রতিশ্রুতি শুনে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি গুজরাতেও জয়ের একই সমীকরণ কাজে লাগাতে চলেছেন তিনি! কিন্তু পঞ্জাবে উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি কাজে লেগেছে, গুজরাতেও কি তা একই ফল দেবে? তবে কেজরীবাল শুধু প্রতিশ্রুতিতে থেমে থাকেননি।
বৃহস্পতিবার সুরতে এসেছিলেন কেজরীবাল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সেখানে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত বকেয়া বিলে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। পাশপাশি মোদীর রাজ্যে দাঁড়িয়ে তাঁকে আক্রমণও করেন। সম্প্রতিই বিনামূল্যে জিনিস দেওয়ার বিনিময়ে ভোট চাওয়াকে কটাক্ষ করেছিলেন মোদী। এই অভ্যাসকে টোপ দেওয়া বলেও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। সুরতে দাঁড়িয়ে মোদীর সেই মন্তব্যের জবাব দিয়ে কেজরী বলেন, ‘‘আমি বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পালন করেছি। কিন্তু যাঁরা আমাকে এ নিয়ে অপমানিত করেছেন, তাঁরা তো নিজেদের জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রাইভেট জেট কিনেছেন। কেজরীবাল নিজের জন্য জেট বিমান কেনেন না। তিনি দিল্লির মহিলাদের বিনামূল্যে সরকারি পরিবহণে চড়ার ব্যবস্থা করেন। এখানেই ওঁদের সঙ্গে কেজরীবালের তফাত।’’