আত্মঘাতী ওই মহিলা কর্মী।
দলেরই এক সহকর্মী তাঁর শ্লীলতাহানি করে মাসখানেক আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু, তাতেও শিক্ষা হয়নি। ছাড়া পাওয়ার পর সেই সহকর্মীর অত্যাচার এতটাই লাগামছাড়া হয়ে যায় যে, সুইসাইড করতে বাধ্য হলেন আম আদমি পার্টির এক মহিলা কর্মী। অপমানের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কোল্ড ড্রিঙ্ক-র মধ্যে বিষ মিশিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির নারেলায়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দিল্লির একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নারেলার বাড়িতে দুই মেয়ে নিয়ে থাকতেন ওই মহিলা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, রমেশ ওয়াধওয়া নামে দলীয় এক কর্মী দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁকে উত্যক্ত করতেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, রমেশ পার্টির বিশ্বাসভাজন হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে দল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে, রমেশকে প্রশয়ই দেওয়া হয়। গত ২ জুন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। পর দিনই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কিন্তু দলের হাত মাথায় থাকায় এক দিনের মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যান রমেশ। এর পর থেকে ওই মহিলার উপর অত্যাচার আরও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গুজরাতে দলিত-নিগ্রহ নিয়ে তোলপাড় সংসদ
এই ঘটনার পর বিজেপি আম আদমি পার্টির ‘মুখোশ’ টেনে খুলতে মাঠে নেমে পড়েছে। বিজেপির দিল্লি ইউনিটের প্রধান সতীশ উপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই মহিলার মৃত্যু আম আদমি পার্টির আসল রূপটা দেখিয়ে দিল। নিজের দলের মহিলাদেরই কোনও সুরক্ষা দিতে পারে না, উপরন্তু মহিলাদের প্রতি ভীষণই বিরূপ মনোভাব দলের।’’ আপের তরফ থেকে বিজেপির আনার অভিযোগ নস্যাৎ করে জানানো হয়েছে, দল দলীয় তদন্ত করছে। দোষীদের রেয়াত করা হবে না। এই ঘটনার পর অবশ্য যোগাযোগ করা যায়নি রমেশ ওয়াধওয়া-র সঙ্গে।