দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।
আম আদমি পার্টির (আপ) সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ওজন নিয়ে তরজা অব্যাহত। আপের অভিযোগে এ বার পাল্টা জবাব দিলেন তিহাড় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, জেল প্রশাসনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
গত শনিবার আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ দাবি করেছিলেন, ডায়াবেটিক কেজরী যাতে ‘গুরুতর অসুস্থ’ হন, সেই চক্রান্তই করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। গত ২১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেজরীওয়াল। তখন তাঁর ওজন ছিল ৭০ কেজি। ১ এপ্রিল থেকে তিহাড় জেলে রয়েছেন আপ প্রধান। এখন তাঁর ওজন হয়েছে ৬১.৫ কেজি। সঞ্জয়ের কথায়, ‘‘জেলে কেজরীওয়ালের উপর অত্যাচারের উদ্দেশ্য রয়েছে বিজেপির। মোদী সরকারের উদ্দেশ্য হল, তাঁর জীবন নিয়ে খেলা। গ্রেফতারির পর থেকে ৮.৫ কেজি ওজন কমে গিয়েছে তাঁর। এখন ওজন ৬১.৫ কেজি।’’
এ বার তিহাড় কর্তৃপক্ষ জানালেন, জেলে এসে কেজরীওয়ালের ওজন যতটা কমেছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা অসত্য। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘গত ১ এপ্রিল কেজরীওয়াল যখন তিহাড় জেলের দু’নম্বর সেলে এসেছিলেন, তখন তাঁর ওজন ৬৫ কেজি ছিল। গত ১০ মে তিনি যখন অন্তর্বর্তী জামিনে জেলের বাইরে বেরিয়েছিলেন, তখন ওজন ছিল ৬৪ কেজি। তার পর ২ জুন আবার যখন কেজরীওয়াল আত্মসমর্পণ করেছিলেন তখন ওজন ছিল ৬৩.৫ কেজি। বর্তমানে তাঁর ওজন ৬১.৫ কেজি।’’
জেল প্রশাসন আরও জানায়, জেলের মেডিক্যাল অফিসার নিয়মিত কেজরীওয়ালের শারীরিক পরীক্ষা করেন। জেলে আপ নেতার যে ওজন কমেছে তা কম পরিমাণে খাবার গ্রহণ করার জন্য হতে পারে বলে মনে করছেন মেডিক্যাল অফিসার। বর্তমানে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে কেজরীওয়ালের সুগারের মাত্রার উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। তার পরই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতেই এ ধরনের ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে আপ। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য কেজরীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সঞ্জয় অভিযোগ করেছিলেন, কেন ওজন কমছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ, কেজরীর কোনও শারীরিক পরীক্ষা হয়নি। তাঁর মতে, গুরুতর অসুস্থতার কারণেই ওজন কমছে আপ প্রধানের। তিনি দাবি করেন, ‘‘পাঁচ বার কেজরীর রক্তে শর্করার মাত্রা ডেসিলিটার পিছু ৫০ মিলিগ্রামে দাঁড়িয়েছে। এ ভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে থাকলে কোনও মানুষ কোমায় চলে যেতে পারেন।’’