দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল ছবি।
সোম এবং মঙ্গলবার কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে মহাজোটের দ্বিতীয় বৈঠকে হাজির থাকবে আপ। প্রতিনিধি হিসাবে বেঙ্গালুরু রওনা হবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। রবিবার আপের রাজনীতি সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান আপ নেতা রাঘব চড্ডা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাঘব জানান, দলের সিনিয়র নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ১৭ এবং ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে আপ হাজির থাকবে। আপের হয়ে আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল, ভগবন্ত মান এবং সঞ্জয় সিংহ বৈঠকে অংশ নেবেন।
আগামী সোম-মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক। ওই বৈঠকের আগেই দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছিলেন আপ নেতৃত্ব। কংগ্রেস বৈঠকের আগে অবস্থান স্পষ্ট না করলে বেঙ্গালুরুতে মহাজোটের বৈঠক বয়কট করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিল আপ। ইতিমধ্যেই বাকি সব বিরোধী দল কেজরীওয়ালকে সমর্থন জানিয়েছে। বস্তুত, শনিবারই কংগ্রেসের সংসদীয় রণকৌশল সংক্রান্ত গোষ্ঠীর বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক হয়েছিল, অন্যান্য বিরোধী দলের মতোই আপের পাশে থাকবে কংগ্রেসও। রবিবার সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘কংগ্রেস কেন্দ্রের ওই অধ্যাদেশকে সমর্থন করে না। আমরা আশা করছি, সোম ও মঙ্গলবারের বিরোধী বৈঠকে আপ হাজির থাকবে।’’ কংগ্রেস নেতা অবশ্য অধ্যাদেশের বিরোধিতা নিয়ে বলতে গিয়ে একবারও আপের নাম করেননি। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এর মধ্যে আসলে কংগ্রেস এক ঢিলে দুই পাখি মারল। প্রথমত, অধ্যাদেশের বিরোধিতার প্রশ্নে অবস্থান স্পষ্ট করে আপের বৈঠকে হাজির থাকার শর্ত পূরণ হয়ে গেল, অন্য দিকে, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর মোদী সরকারের সব ধরনের আক্রমণের বিরোধিতার প্রশ্নেও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল। এর ফলে আগামিদিনে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে কংগ্রেস শুরু থেকেই অবস্থান পরিষ্কার করতে পারবে।
গত ২৩ জুন পটনায় ১৫টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল মিলিত হয়েছিল, প্রথম বারের জন্য। সেখানে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর শুরু। দ্বিতীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। পটনার বৈঠকেও অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কেজরীওয়াল। এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের তরফ থেকে সদর্থক বার্তা পাওয়ার পর বেঙ্গালুরুর বৈঠকে আপের যোগদান নিয়ে যে ধোঁয়াশা ছিল, বৈঠক শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে, তা-ও কেটে গেল।