দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
রবিবারের পর মঙ্গলবার, আবারও ইডি হেফাজত থেকে সরকারি কাজ সারলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। এ বার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজকে রাজ্যের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর নির্দেশ ‘মহল্লা ক্লিনিক’-এ যেন কোনও ভাবেই বিনামূল্যে দেওয়া ওষুধের ঘাটতি না হয়।
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কারাগারে থাকা সত্ত্বেও কেজরীওয়াল দিল্লির মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। তিনি আমাকে এ ব্যাপারে কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। কেজরীওয়াল আমাকে বলেছেন, তিনি খবর পেয়েছেন দিল্লির কিছু হাসপাতালে এবং মহল্লা ক্লিনিকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার সেখানে সব ওষুধ থাকছে না। অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
গত বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় টানা দু’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি অভিযানের পর রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আবগারি মামলায় কেজরীওয়ালের গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে আপ। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি আপ প্রধান। বরং তাঁর দলের তরফে জানানো হয়, কেজরীই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।
আপের তরফে আরও জানানো হয়, জেলে বসেই কেজরীওয়াল সরকার চালাবেন। সেই মোতাবেক রবিবারই দেখা গেল ইডি হেফাজত থেকে কেজরীওয়াল দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনাকে কিছু প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠান। সেই সম্পর্কে অতিশী জানিয়েছিলে, রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় জল সরবরাহ নিয়ে একটি সমস্যা ছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। সেই সমস্যা মেটাতেই উদ্যোগী হওয়ার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন কেজরী। তিনি বলেছিলেন ‘‘আমি বিজেপিকে বলতে চাই, আপনারা কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করতে পারেন, কিন্তু দিল্লির জনগণের প্রতি তাঁর ভালবাসা এবং কর্তব্যবোধকে বন্দি করে রাখতে পারবেন না।”
ভারতের ইতিহাসে কেজরীওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি গ্রেফতার হওয়ার পর ইডি হেফাজত থেকেই সরকারি কাজ পরিচালনা করছেন। তবে এই কাজকর্মকে কটাক্ষ করে বিজেপি দাবি করেছেন, কেজরীওয়াল এখন সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। বিজেপি নেতা হরিশ খুরানা বলেন, ‘‘হঠাৎ করে তিনি (অরবিন্দ কেজরীওয়াল) দিল্লি নিয়ে চিন্তা দেখাচ্ছেন। এটা নাটক ছাড়া কিছুই নয়। গ্রেফতার হওয়ার পর সহানুভুতি আদায় করতে চাইছেন।’’