আপের রাজ্যসভা সাংসদ রাঘব চাড্ডা। —ফাইল চিত্র।
পটনার ধাঁচেই বেঙ্গালুরুতে হতে চলা বিরোধী জোটের বৈঠকের আগে কংগ্রেসের উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল আম আদমি পার্টি (আপ)। দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্রের আনা অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে সরব ছিলেন আপ নেতৃত্ব। আজ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বেঙ্গালুরুতে হতে চলা বিরোধী বৈঠকে যোগ দেওয়ার প্রশ্নে আপ-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগে অধ্যাদেশ প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক কংগ্রেস। তার পরে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। পাল্টা যুক্তিতে কংগ্রেস জানিয়েছে, আগামী সোমবার অধ্যাদেশ বাতিল করা সংক্রান্ত দিল্লি সরকারের করা একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে। মামলার রায় দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস। যদি মামলাটি খারিজ হয়ে যায় তা হলে অধ্যাদেশ সংসদেই পেশ হবে না। সে ক্ষেত্রে আপকে সংসদে সমর্থন করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না কংগ্রেসের।
দশ দিন পরেই বেঙ্গালুরুতে হতে চলেছে বিরোধী জোটের বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আজ আপ নেতৃত্বকে আনুষ্ঠনিক ভাবে আমন্ত্রণ জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু পটনার বৈঠকের আগে আপ যে ভাবে কংগ্রেসকে ওই অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছিল, আজও ঠিক সে ভাবেই কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়ায় কেজরীওয়ালের দল। আপের রাজ্যসভা সাংসদ রাঘব চাড্ডা বলেন, ‘‘পটনা বৈঠকের সময়েই কংগ্রেস নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছিলেন, বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ায় পনেরো দিন আগেই অধ্যাদেশ প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে দল। আমরা আশা করছি কংগ্রেস দ্রুত এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে।’’ অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে কংগ্রেস আনুষ্ঠানিক অবস্থান জানানোর পরেই বাকি সব কথাবার্তা হবে।’’
আপ নেতৃত্ব চাপ বাড়ানোর কৌশল নিলেও পাল্টা ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগোনোর পক্ষপাতী কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, অধ্যাদেশ সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি রয়েছে আগামী সোমবার। সে দিন ওই অধ্যাদেশটি খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খারিজ হলে সেটির আর সংসদে আসার কোনও সম্ভাবনাই থাকবে না। ফলে সে ক্ষেত্রে আপকে সমর্থন করা না করা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। তাই এ বিষয়ে আগেভাগে আপকে সমর্থন করে কেজরীওয়ালের দলকে বাড়তি সুবিধে দিতে রাজি নয় কংগ্রেস। দলের কথায়, একান্তই যদি সুপ্রিম কোর্টে অধ্যাদেশ খারিজ না হয়, তাহলে কংগ্রেস তো বলেই রেখেছে কেন্দ্রের সব ধরনের অন্যায্য পদক্ষেপের বিরোধিতার প্রশ্নে বিরোধী দলগুলির পাশে রয়েছে কংগ্রেস। এ ক্ষেত্রেও থাকবে।