রাঘব চড্ডা। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বয়সের যোগ্যতার মাপকাঠি আরও কমানোর দাবি তুললেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চড্ডা। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন দেশীয় রাজনীতিতে ‘বৃদ্ধতন্ত্র’ তাঁর একেবারেই না-পসন্দ। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় পরিসংখ্যান তুলে ধরে আপ সাংসদ বোঝাতে চাইলেন, কী ভাবে সময়ের সঙ্গে স্বল্পবয়সি রাজনীতিকদের সংখ্যা কমেছে লোকসভায়। সংসদে তরুণ রাজনীতিকেরা যাতে আরও বেশি সংখ্যায় থাকেন, তার জন্য বয়সের মাপকাঠি কমানোর প্রস্তাবও দেন তিনি। বর্তমানে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে গেলে ন্যূনতম ২৫ বছর বয়স হওয়া দরকার। সেটি কমিয়ে ২১ বছর করার দাবি তোলেন চড্ডা।
আপ সাংসদ রাজ্যসভায় জানান, ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে গড় বয়স ২৯। তারুণ্যে ভরা এই দেশে মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নীচে। ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষের বয়স ২৫ বছরের কম। এ কথা বলেই দেশের রাজনীতিকদের বয়সের তুলনা টানেন চড্ডা। পরিসংখ্যান তুলে আপ সাংসদ বলেন, “দেশের প্রথম লোকসভায় ২৬ শতাংশ সাংসদের বয়স ছিল ৪০ বছরের কম। গত লোকসভায় তা কমে ঠেকেছে মাত্র ১২ শতাংশে। দেশে তারুণ্য বাড়ছে, কিন্তু আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন।” তারুণ্যে ভরা দেশে যাতে আরও বেশি তরুণ সংসদে আসেন, সেই বার্তাও দেন তিনি।
তরুণ জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যা কেন কমে আসছে, তার সম্ভাব্য কারণও ব্যাখ্যা করেন আপ সাংসদ। রাজ্যসভায় তিনি জানান, এর একটি অন্যতম কারণ হতে পারে রাজনীতিকে একটি ‘খারাপ পেশা’ হিসাবে দেখা হয়। তাঁর যুক্তিতে, কোনও অভিভাবক যখন নিজের সন্তানের কথা ভাবেন, তখন তাঁদের চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়র, খেলোয়াড়, বিজ্ঞানী,আরও অনেক কিছু বানাতে চান। কিন্তু কখনওই চান না সন্তানকে রাজনীতিক হিসাবে দেখতে।
তিনি বলেন, “তরুণেরা যাতে মূলস্রোতের রাজনীতিতে আসেন, সে জন্য লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য বয়সের মাপকাঠি ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ করা হোক। যদি কেউ ১৮ বছর বয়সে ভোট দিতে পারেন, সরকার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা থাকতে পারে, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তাঁর ভূমিকা থাকতে পারে, তা হলে ২১ বছর বয়সে ভোটে লড়তে কেন পারবেন না?”