শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকারের অস্থায়ী ও ঠিকা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও কার্যকর করা হোক সংরক্ষণ ব্যবস্থা। বিধানসভায় বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, রাজ্যে অস্থায়ী, ঠিকা, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও সংবিধান মেনে তফসিলি জাতি, জনজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি, শারীরিক ভাবে অক্ষমদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হোক। তিনি আরও দাবি করেছেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরে অস্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সংরক্ষণের কোনও উল্লেখ নেই। সেই নিয়োগের ক্ষেত্রেও আসন সংরক্ষিত রাখা হোক বলে দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু।
সম্প্রতি অস্থায়ী পদে ৬,৬০০ কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। ‘জেলা সিলেকশন কমিটি’ করে নিয়োগ করা হবে। শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যে ‘১০০ পয়েন্ট রস্টার’ মেনে চলা হয়, এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি অনুযায়ী মোট শূন্যপদের মধ্যে কত সংখ্যক আসন সংরক্ষিত থাকবে তা-ই লেখা থাকে এই ‘১০০ পয়েন্ট রস্টার’-এ। এটি রাজ্য সরকারের প্রতি ১০০ শূন্যপদে নিয়োগের ক্রমতালিকা। সেখানে বলা হয়, প্রতি ১০০ শূন্যপদে কোন শ্রেণির জন্য কত অনুপাতে আসন সংরক্ষিত থাকবে। শুভেন্দুর অভিযোগ, পঞ্চায়েত দফতরে ৬,৬০০ কর্মী নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই ‘১০০ পয়েন্ট রস্টার’ মানার কথা বলা হয়নি।
বিধানসভার দৃষ্টি আকর্ষণ পর্বে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, রাজ্য সরকারের অস্থায়ী পদেও নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ‘১০০ পয়েন্ট রস্টার’ মেনে সংরক্ষণ কার্যকর করা হোক। তিনি জানিয়েছেন, অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ নিয়ে ‘আইনি জটিলতা’ তৈরি হয়েছে। সেই ‘আইনি জটিলতা’ মিটিয়ে অস্থায়ী, ঠিকা এবং চুক্তিভিত্তিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি কার্যকর করার কথা রাজ্য সরকারকে বলেছেন শুভেন্দু।