ধর্মান্তরণে উপস্থিত আপের মন্ত্রী। —ছবি টুইটার থেকে।
ধর্মান্তরণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হিন্দুত্ব-বিরোধী শপথ নিয়েছেন আম আদমি পার্টির এক মন্ত্রী! অভিযোগ, রাজেন্দ্র পাল গৌতম প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘‘আমি হিন্দু দেব-দেবীর পুজো করব না।’’ বিষয়টি নিয়ে আপের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ করেছে, ‘হিন্দুত্ব-বিরোধী’ প্রচার চালাচ্ছেন কেজরীওয়াল। রাজেন্দ্র সব অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেছেন, বিজেপি আসলে ‘দেশ-বিরোধী’।
৫ অক্টোবর, বুধবার দিল্লির অম্বেডকর ভবনে গণ ধর্মান্তরণ ছিল। বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। সেখানকার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দিল্লির মন্ত্রী রাজেন্দ্র বলছেন, ‘‘ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরে আর কোনও বিশ্বাস থাকবে না। আমি তাদের পুজোও করব না। রাম এবং কৃষ্ণতেও আমার কোনও বিশ্বাস থাকবে না, যাঁদের ঈশ্বর রূপে দেখা হয়। আমি তাঁদের পুজোও করব না।’’
পরে টুইটারে রাজেন্দ্র লেখেন, ‘‘বুদ্ধর উদ্দেশে এই অভিযান। অশোক বিজয়দশমীতে ১০ হাজারেরও বেশি বিদ্বজ্জন জাতপাত এবং অস্পৃশ্যতা-মুক্ত ভারত গড়ার অঙ্গীকার নিয়েছেন, যা ‘জয় ভিম’ অভিযান নামে পরিচিত।’’
এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অমিত মালব্য টুইটারে লিখেছেন, ‘‘অরবিন্দ কেজরীওয়ালের মন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল ভারত-ভাগ কর্মসূচিতে নেমেছেন। হিন্দু-বিরোধী এই প্রচারের মূল পৃষ্ঠপোষক অরবিন্দ কেজরীওয়াল।’’ সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘হিন্দু আর বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি অবমাননা হয়েছে। আপ মন্ত্রীরা হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। এখনই ওই মন্ত্রীকে আপ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছি।’’
বিজেপির সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি আসলে দেশ-বিরোধী। বৌদ্ধ ধর্মে আমার বিশ্বাস রয়েছে। এই নিয়ে কারও এত সমস্যা কেন? ওরা অভিযোগ করুক। সংবিধান আমাদের যে কোনও ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। বিজেপি আসলে আপকে ভয় পায়। সে কারণে আমাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করছে।’’