অরবিন্দ কেজরীবাল।—ছবি পিটিআই।
দিল্লিতে গোষ্ঠীসংঘর্ষ চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। অভিযোগ ছিল, সংঘর্ষে উস্কানির পিছনে বিজেপি ও আপ-এর আঁতাঁত রয়েছে। এ বার দিল্লি সংঘর্ষের মামলায় সরকারের হয়ে লড়তে কেন্দ্রের আইনজীবী নিয়োগ করে ফের বিতর্কে জড়াল কেজরীবাল সরকার।
দুই দলের আঁতাঁত ও আপ-কে বিজেপির বি টিম হিসেবে চিহ্নিত করে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনের মন্তব্য, আপ ও বিজেপি আসলে একই দল। জবাবে আইনজীবী নিয়োগের পিছনে উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের হাত রয়েছে বলে দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছে আপ-সরকার।
২৯ মে ছাত্রী-সমাজকর্মী গুলফিশা খাতুনের মামলার শুনানিতে দিল্লি সরকারের আইনজীবী রাহুল মেহরা আদালতকে জানান, কেজরী সরকার স্পেশাল কাউন্সেল হিসাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং তৎসহ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আমন লেখি (দিল্লির বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখির স্বামী), মনিন্দর আচার্য, কেন্দ্রের আইনজীবী অমিত মহাজন ও রজত নায়ারকে বিশেষ আইনজীবী নিযুক্ত করেছে। এর পরেই সমালোচনা শুরু হয়। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলার ইঙ্গিত দিচ্ছেন কেজরীবাল। দিল্লির অশান্তি রুখতে আপ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। চলতি বিতর্কে কেজরী সরকারের দাবি উড়িয়ে কেজরীর প্রাক্তন সতীর্থ যোগেন্দ্র যাদবের দাবি, মিথ্যা বলছে সরকার। অতীতে দিল্লি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ক্ষমতা প্রয়োগ করে সরকারের পক্ষে কৌঁসুলি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: লাদাখ নিয়ে পাঁচ প্রশ্ন কংগ্রেসের