দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে দু’দিন আগে, গত সোমবার জিনিসপত্র রেখে এসেছিলেন অতিশী মারলেনা। দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি (আপ)-এর দাবি, সেই সরকারি বাসভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জিনিসপত্র বার করে দেওয়া হয়েছে। আর সবটাই ‘জোরপূর্বক’ করা হয়েছে দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার নির্দেশে। উপরাজ্যপালের দফতর যদিও সেই দাবি মানেনি।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘‘এ দেশের ইতিহাসে এই প্রথম বার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর খালি করা হয়েছে। বিজেপির হয়ে উপরাজ্যপাল জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে তাঁর জিনিসপত্র সরিয়ে দিয়েছেন।’’ উপরাজ্যপালের দফতরের একটি সূত্র এই দাবি মানেনি। সেই সূত্রের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, ‘‘অতিশীকে এই সরকারি ভবন বরাদ্দ করার আগেই সেখানে নিজের জিনিসপত্র রেখেছিলেন তিনি। এখন নিজেই সে সব সরিয়ে নিচ্ছেন।’’ সেই সূত্রের আরও দাবি, ‘‘ওই বাসভবন এখনও অতিশীকে বরাদ্দ করা হয়নি। তাঁর জন্য যে বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে, তা হল ১৭এবি মথুরা রোড। একই সঙ্গে এক জনকে দু’টি বাড়ি কী ভাবে বরাদ্দ করা হবে?’’
গত বছর অতিশী কেজরী সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। তার পর তাঁকে ওই ১৭ এবি মথুরা রোডের বাড়িটি বরাদ্দ করা হয়েছিল। একটি সূত্র দাবি করেছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জন্য যে বাসভবন বরাদ্দ করা হয়, পূর্ত দফতর তার ব্যবস্থাপনা করার পরে তা অতিশীকে দেওয়া হবে। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সেই বাড়ি থেকে জিনিসপত্র, বাক্স বার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, দরজায় তালাও ঝোলানো হয়েছে। চাবি হস্তান্তরের বিষয়ে সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি বলেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে, দাবি ওই সূত্রের। এই নিয়ে আপ এবং বিজেপির মধ্যে নতুন করে চাপানউতর তৈরি হয়েছে। বিজেপির দাবি, বাংলোটি খালিই করেননি কেজরী। দিল্লি বিধানসভার বিরোধী নেতা তথা বিজেপি বিধায়ক বিজেন্দ্র গুপ্তা পূর্ত দফতরের একটি চিঠির কথা উল্লেখ করে দাবি করেছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরী বাংলো ছাড়েননি। তাই বাংলো হাতে পায়নি পূর্ত দফতর। সে কারণে তা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন কেজরী। গত শুক্রবার তিনি নিজের বাংলো ছেড়ে দেন।