অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি একের পর এক নির্বাচিত সরকার ফেলে দিচ্ছে বলে সরব হল আম আদমি পার্টি (আপ)। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের উদ্দেশে তাদের প্রশ্ন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যে কেন কেন্দ্রীয় সংস্থার কোনও তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না? গুজরাতেই পাঁচটি অভিযোগের উল্লেখ করে সেখানে সিবিআই বা ইডি-কে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে তারা।
দিল্লিতে বিধায়কদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে, এই অভিযোগ কিছু দিন ধরেই তুলছেন আপ নেতারা। বিজেপির এই ‘কৌশলে’র বিরুদ্ধেই দেশ জুড়ে প্রচারের অঙ্গ হিসেবে সরব হয়েছেন বাংলায় আপের রাজ্য নেতৃত্বও। কলকাতা প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার আপের তরফে অর্ণব মৈত্র, তুলিকা অধিকারী, সুশান্ত ভট্টাচার্যেরা অভিযোগ করেছেন, মানুষ অনেক আশা নিয়ে এক একটি সরকারকে নির্বাচিত করার পরে বিজেপি সেই সরকার ভেঙে দিয়ে গণতন্ত্রকেই ‘হত্যা’ করছে। মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক, অসম, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়ে অতীতের উদাহরণ দিয়ে আপ নেতাদের দাবি, সিবিআই-ইডি’র হানার ভয় দেখিয়ে বিজেপি দরাদরি করছে। সারা দেশে তারা এখনও পর্যন্ত ২৭৭ জন বিধায়ককে কিনেছে। প্রতি বিধায়ক পিছু ২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে ধরলে সরকার বদলানোর এই খেলায় ৫৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে!
গুজরাতে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মোদী-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর বেসরকারি বন্দর থেকে ২২ হাজার কোটি টাকার মাদক আটক বা বিষমদে ৫০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যুর ঘটনার উল্লেখ করে আপের মুখপাত্র অর্ণবের বক্তব্য, ‘‘শুধু আমাদের বা বিরোধীদের বিরুদ্ধেই তদন্ত কেন? যদি সাহস থাকে, তা হলে গুজরাতে নির্বাচনের আগে মোদীজি এই সব ঘটনায় সিবিআই বা ইডি-র তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দেখান!’’