Shraddha Walkar Murder Case

‘তোমার মেয়েকে খুনের পর দেহ টুকরো করেছিলাম’! শ্রদ্ধার বাবাকে জানিয়েছিলেন সেই আফতাব

আফতাব নাকি বিকাশকে জানান, তিনি প্রথমে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। পরে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৩ ১০:৩০
Share:

শ্রদ্ধা ওয়ালকর এবং আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। —ফাইল চিত্র ।

মেয়ে শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে কী ভাবে খুন করেছিলেন, তা নাকি তাঁর বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকরকে জানিয়েছিলেন শ্রদ্ধার প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। আফতাব নাকি বিকাশকে জানান, তিনি প্রথমে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। পরে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলেন। দিল্লির একটি আদালতে মেয়ের খুনের মামলার শুনানির সময় সাক্ষী দিতে এসে এমনটাই জানিয়েছেন বিকাশ।

Advertisement

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও এই মামলা আদালতে বিচারাধীন। সেই মামলাতে সাক্ষী দিতেই সোমবার দিল্লির জেলা আদালতের বিচারক মনীষা খুরানা কক্করের এজলাসে হাজির হন বিকাশ। শুনানি চলাকালীন বিকাশ জানান, আফতাব তাঁর কাছে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা স্বীকার করেন। আফতাব নাকি এ-ও জানিয়েছিলেন যে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর তিনি একটি করাত কিনে এনেছিলেন। তার পর ওই করাত দিয়ে শ্রদ্ধার দুই কব্জি কেটে ফেলেন। পরে বাকি দেহ টুকরো টুকরো করে একটি ব্যাগে ভরে রেখে দেন।

বিকাশ আদালতে জানিয়েছেন, মেয়ে শ্রদ্ধার খুনের বিষয় প্রকাশ্যে আসার পর গত বছরের নভেম্বর মাসে তাঁকে মেহরৌলি থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। থানার মধ্যেই নাকি তাঁর কাছে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেন আফতাব।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলিতে তাঁদের ভাড়াটে ফ্ল্যাটে শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করেন আফতাব। এর পর সেই টুকরোগুলিতে পচন রুখতে সেগুলি রাসায়নিক দিয়ে ধুয়েমুছে প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে ফ্রিজ়ে ভরে রাখেন। রাতের অন্ধকারে সেই টুকরোগুলি মেহরৌলির জঙ্গলে ফেলতে যেতেন বলেও অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement