প্রতীকী ছবি।
আধার আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে (ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই) যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে আগামিকাল তারা নাগরিকদের রক্তের নমুনা চাইতে পারে বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। আধার প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একগুচ্ছ জনস্বার্থ আবেদনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। আজ সেই শুনানির সময় এই পর্যবেক্ষণ জানান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
আধার আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের আঙুলের ছাপ এবং চোখের মণির স্ক্যান ছাড়া অন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্যের নমুনাও সংগ্রহ করতে পারে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এটা কি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারে হস্তক্ষেপ এবং অত্যধিক ক্ষমতার নমুনা নয়? এ ধরনের নিয়মের ব্যাখ্যা নানা ভাবে করা যায়। আগামিকাল তো ইউআইডিএআই রক্তের নমুনা চেয়ে বসবে!’’ অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেনুগোপাল বলেন, ‘‘আগামিকালের ব্যাপারে বলতে পারব না। তবে রক্ত, মূত্র বা লালার নমুনা নেওয়া সম্ভব। যদি তা হয়, তা হলে বেসরকারি সংস্থাগুলি নিশ্চয় আদালতে যাবে। তখন আদালত তার বিচার করবে।’’
আঙুলের ছাপ নেওয়া ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করে না, অ্যাটর্নি জেনারেলের এই যুক্তি শুনে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘বন্দি চিহ্নিত করার মতো ছোট ক্ষেত্রে এটা সমস্যা নয়। কিন্তু ব্যাপক ভাবে নেওয়া হলে অবশ্যই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।’’ অ্যাটর্নি জেনারেল এ-ও বলেন, ‘‘সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে এবং বিশেষত তা যদি জাতীয় স্বার্থে হয়, সেখানে আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। তাতে উন্নয়নের গতি শ্লথ হবে। দরিদ্র মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই আধার প্রক্রিয়া জরুরি।’’