প্রণব মুখোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাবা কামদাকিঙ্কর ছিলেন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং কংগ্রেস নেতা। কিন্তু বাড়িতে রাজনীতির পরিবেশ থাকলেও, সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজ বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্বের ছাত্র থাকাকালীন প্রণব রাজনীতিতে জড়াননি। তবে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পর্বের পরে আইনের পাঠক্রমে ভর্তি হওয়ার পরে ছাত্র সংসদের সভাপতি হয়েছিলেন।
সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ আরও এক দশক পরে। তৎকালীন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধের জেরে ১৯৬৬ সালে অজয় মুখোপাধ্যায় বাংলা কংগ্রেস গড়ার পরে। প্রায় সাড়ে পাঁচ দশকের রাজনৈতিক সফরে ‘প্রাপ্তি’র হিসেব করলে প্রণবের তুল্য বাঙালি রাজনীতিকের সন্ধান মিলবে না।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রায় সবগুলি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের পাশাপাশি, কয়েক দশক ধরে দলীয় সংগঠনের গুরুদায়িত্ব সামলেছেন। ইন্দিরা গাঁধীর জমানায় ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ থেকে সনিয়া গাঁধী-মনমোহন সিংহ আমলে ‘মিস্টার ইনডিসপেনসেবল’ হয়ে উঠেছেন। রাজনীতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন— প্রণবের হাত ধরেই একদলীয় শাসনের প্রবক্তা কংগ্রেসের কোয়ালিশন রাজনীতির যুগে পদার্পণ।
আরও পড়ুন: না জনভিত্তি, না পারিবারিক গরিমা, তবু রূপকথার চেয়ে কম ছিল না প্রণববাবুর যাত্রাপথ