অলঙ্করণ: অমৃত হালদার।
মণিপুরে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনাগুলির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নৈতিক জয় পালন করার জন্য মণিপুরে শনিবার ‘দমনবিরোধী দিবস’ পালন করল মহিলা সংগঠনগুলি। অভিযোগ, ২০০৪-এর ১১ জুলাই জঙ্গি অপবাদে থংজাম মনোরমাকে ধর্ষণ করে, গুলি করে মারে আধা সেনা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে ১৩ বছর আগে, আজকের তারিখে আসাম রাইফেলস-এর তৎকালীন সদর দফতরের সামনে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ১২ জন মহিলা। মণিপুরবাসী তাঁদের সম্মান করে ‘মা’ বলে ডাকে। তাঁদের এক জন প্রয়াত হয়েছেন। বাকি ১১ জনকে কাংলা দূর্গের কাছেই মহাত্মা গাঁধী হলে এ দিন সম্মানিত করা হল। হাজির ছিলেন রাজ্যের অনেক মানবাধিকার কর্মী।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্যাপক হারে গরু পাচার, অভিযোগ বাংলাদেশের
ওই দিন গোটা ভারতের সামনে মাথা হেঁট হয়েছিল মণিপুর সরকার, আধা সেনার। আন্দোলনের জেরে ইম্ফলের আশপাশ সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আফস্পা-ও প্রত্যাহার হয়। কিন্তু থামেনি নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচার ও ভুয়ো সংঘর্ষ। ‘মা’য়েদের অন্যতম, রমণীদেবীর মতে, ‘‘আদালতের ওই রায়ে নৈতিক জয় হলেও যত দিন পর্যন্ত মণিপুর থেকে আফস্পা পুরো প্রত্যাহার না হবে, আমরা নিজেদের নগ্নই মনে করব।’’ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘তদন্তে সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। আমরা মানুষের জীবন ও সম্পত্তির অধিকার রক্ষায় দায়বদ্ধ।’’