জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সব পথ খুলে রাখছে ভারতীয় সেনা। —ফাইল চিত্র।
এক বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকেই থেমে থাকবে না ভারত। দরকার হলেই আবার নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অভিযান হবে। স্পষ্ট জানাল সেনা। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ফুটেজ প্রকাশ নিয়ে দিন কয়েক রাজনৈতিক তরজা চলার পর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয় যে সংসদদের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদেরকে সেনা বিশদে জানাবে, ঠিক কী ভাবে অভিযান হয়েছিল। বিভিন্ন দলের সাংসদদের নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠিত হয়। তাই ওই সংসদীয় কমিটিকেই সেনাবাহিনী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সম্পর্কে বিশদ তথ্য দিয়েছে। সেই বৈঠকেই সেনার তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে আবার হবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক।
সেনাবাহিনীর উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াত সাংসদদের সামনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বিবরণ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার ও পারে বিভিন্ন লঞ্চ প্যাডে বহু জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশের উদ্দেশে জড়ো হয়েছিল বলে সেনাবাহিনীর কাছে খবর ছিল। সেই খবরের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়। সেনা অভিযানে জঙ্গি পরিকাঠামোর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাওয়াত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের জানিয়েছেন।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর ভারতীয় সেনার ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিংহ পাক সেনার ডিজিএমও-কে জানিয়েছিলেন অভিযানের কথা। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এই রকম ব্যতিক্রমী অভিযান চালাতে হয়েছে বলে রণবীর সিংহ পাকিস্তানকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনী এ বার আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনা যতই ব্যতিক্রমী হোক, তা আর কখনও হবে না, এমনটা ধরে নেওয়ার কোনও দরকার নেই। প্রয়োজন পড়লেই ব্যতিক্রমী ঘটনাটি আবার ঘটবে, অর্থাৎ আবার নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারত আঘাত হানবে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বাঁধ দিয়ে জল আটকে দেবে ভারত? আতঙ্কে পাকিস্তান
সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের খুঁটিনাটি সম্পর্কে সাংসদদের অবহিত করতে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান ১৫ মিনিট সময় নেন। তার পর বৈঠক শেষ হয়ে যায়। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ভুবনচন্দ্র খান্ডুরি পরে জানিয়েছেন, সেনার বিবরণ এতই স্পষ্ট ছিল যে কেউ কোনও বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি।