নিহত টাটা স্টিলের ম্যানেজার অরিন্দম পাল। ছবি সৌজন্য এএনআই।
টাটা স্টিলের সিনিয়র ম্যানেজারকে গুলি করে খুন করল সংস্থারই বরখাস্ত হওয়া এগজিকিউটিভ ম্যানেজার। শুক্রবার দুপুরে ফরিদাবাদের ঘটনা।নিহতের নাম অরিন্দম পাল।
টাটা স্টিলের ফরিদাবাদ ইউনিটের সিনিয়র ম্যানেজার অরিন্দম। ওই দিন অফিসে নিজের ঘরে বসে বিশ্রাম করছিলেন তিনি। হঠাত্ই ঘরে ঢোকেন সংস্থারই বরখাস্ত হওয়া এগজিকিউটিভ ম্যানেজার বিশ্বাস পান্ডে। তার পরই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর পাঁচটা গুলি করেন অরিন্দমকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অফিসে তখন অনেক কর্মী ছিলেন। ম্যানেজারের ঘর থেকে গুলির আওয়াজ শুনে ছুটে আসেনতাঁরা। দরজা খুলে দেখেন মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ম্যানেজার। তখনও ওই ঘরেই ছিলেন বিশ্বাস। সকলে মিলে তাঁকে ধরার চেষ্টা করলে গুলি চালানোর হুমকি দিতে থাকেন তিনি। এক কর্মী জানান, বিশ্বাসের হাতে বন্দুক দেখে কেউ আর সাহস করে এগোতে পারেনি। সেই সুযোগেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।
ফরিদাবাদে টাটা স্টিলের এই ইউনিটেই ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: ফের মহার্ঘ রান্নার গ্যাস, কলকাতায় নতুন দাম ৯৭১ টাকা
পুলিশ জানিয়েছে, অরিন্দম পালের অধীনেই কাজ করতেন বিশ্বাস। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এ বছরের গোড়ায় বিশ্বাসকে কাজ থেকে বরখাস্ত করেন তিনি।তার পর থেকেই ম্যানেজারের উপর একটা আক্রোশ তৈরি হয় বিশ্বাসের। প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। শুক্রবার বিকেলে সেই সুযোগ পেয়েই গুলি করে হত্যা করেন ম্যানেজারকে।
সংস্থার অন্য এক কর্মীর দাবি, বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই ম্যানেজারকে প্রাণে মারার হুমকি দিতেন বিশ্বাস। শুধু তাই নয়, নোটিস পিরিয়ডে থাকাকালীন ‘ফল ভাল হবে না’ বলে ম্যানেজারকে শাসিয়েছিলেন তিনি।তাঁকে কাজে পুনর্বহালের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দরবারও করেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তখন থেকেই কর্মহীন ছিলেন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: ‘৮০ হাজার দিলেই প্রি-স্কুলের ব্যবসা করা যাবে!’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক বিশ্বাস। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শুধু বরখাস্ত হওয়ার জন্য, না কি অন্য কোনও কারণ আছে এর পিছনে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)