গিলান-বারি সিন্ড্রোম (জিবিএস) একটি বিরল ‘অটোইমিউন কন্ডিশন’। —প্রতীকী চিত্র।
পুণেতে ছড়াচ্ছে বিরল স্নায়ুরোগ গিলান-বারি সিন্ড্রোম। এ পর্যন্ত ৭৩ জন আক্রান্ত। এঁদের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ, ২৬ জন মহিলা। ১৪ জন রোগী ভেন্টিলেটরে রয়েছেন। গত কালও নতুন করে ছ’জনের শরীরে এই রোগ ধরা পড়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে একটি ‘র্যাপিড রেসপন্স টিম’ গঠন করেছে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতর। কেন এই ‘ইমিউনোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার’ ছড়াচ্ছে, তা জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
গিলান-বারি সিন্ড্রোম (জিবিএস) একটি বিরল ‘অটোইমিউন কন্ডিশন’। এতে নিজের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলবশত নিজেরই স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। নির্দিষ্ট করে বললে, ইমিউন সিস্টেম ভুল করে শরীরের পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেমের উপরে হামলা চালায়। মানবদেহে স্নায়ুতন্ত্র দু’টি অংশে বিভক্ত। সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম (মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ড) এবং পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম। এই রোগে পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম আক্রান্ত হলে সেটি মস্তিষ্ক থেকে স্পাইনাল কর্ডে বার্তা পাঠানো বন্ধ করে দেয়। এতে শরীর অসার হতে থাকে, অস্বস্তি বাড়ে, পেশি দুর্বল হতে থাকে। শেষে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে শরীর।
জিবিএস-এর কারণ এখনও অজানা। বিশেষজ্ঞদের অনুমান ভাইরাস কিংবা ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ থেকে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। চিকিৎসা রয়েছে, তবে জটিল। ওষুধ বলতে ইনট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিন বা প্লাজ়মা বদল। রোগীকে দীর্ঘদিন রিহ্যাবিলিটেটিভ কেয়ারে থাকতে হয়। এ হেন জটিল রোগটি কেন এ ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে একটি শহরে, তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে।