—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রায় পাঁচ দশকের হিংসায় ইতি টেনে অবশেষে শান্তিচুক্তিতে সই করল আলফা। শুক্রবার দিল্লিতে অসমের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর আলোচনাপন্থী অংশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তবে এই শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করেছে আলফার পরেশ বড়ুয়া গোষ্ঠী।
অসম সরকারের একটি সূত্রের খবর, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, অসমের উন্নতিতে অনুপ্রবেশকারী রুখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। এ ছাড়াও আলফা নেতৃত্বকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জমির পাট্টা দেওয়া এবং অসমের উন্নতির জন্য কেন্দ্রীয় অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার শান্তিচুক্তির পর শাহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ে আলফার সমস্ত যৌক্তিক দাবি মেনে নেবে সরকার। উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নতির জন্য নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের উপরেও আস্থা রাখার জন্য আলফা নেতৃত্বকে অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শুক্রবার শাহের পাশে বসে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, আলফার সঙ্গে শান্তিচুক্তি অসমের বড় অংশে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনবে। আগেই আলোচনাপন্থী আলফা নেতৃত্বে একপ্রস্ত কথা এগিয়ে রেখেছিল কেন্দ্র। শুক্রবার শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হল।
আলাদা অসম রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে আলফার সশস্ত্র আন্দোলনে এক সময় উত্তাল হয়েছিল অসম। পরে অবশ্য ক্রমশ গুরুত্ব হারাতে থাকে সংগঠনটি। আগেই ভারত সরকার আলফাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। পরে পুলিশি অভিযানে আলফার বহু সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। সম্প্রতি আলোচনাপন্থী আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই আলফার সঙ্গে শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের। ভেঙে দেওয়া হবে আলফাও। তবে আলফার তরফে ১৯৭১ সালের বদলে অসমে বিদেশি শনাক্তকরণের ভিত্তিবর্ষ ১৯৫১ সাল করার শর্ত রাখা হয়েছিল। শুক্রবার কোন শর্তে শান্তিচুক্তি, তা এখনও পুরো স্পষ্ট নয়।