ফাইল চিত্র।
এনআরসি দফতরে টাকার নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। জানিয়েছিলেন, এনআরসি দফতরে চালানো সিএজি সমীক্ষার রিপোর্ট তাঁর হাতে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এনআরসি চলায় তা প্রকাশ করতে পারেননি। আজ সিএজি রিপোর্টের অংশ, এজি অফিসের তৈরি রিপোর্টটির কয়েকটি পাতা তিনি সাংবাদিকদের দেন। ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত চালানো ওই অডিট রিপোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন। সেখানে বলা হয়েছে, চার বছরে কেন্দ্রের কাছ থেকে এনআরসি দফতর মোট ৯০৫ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা পেলেও ৮০৬ কোটি ১৬ লক্ষ টাকার খরচ দেখানো হয়েছে। বাকি টাকার হিসেব দাখিল হয়নি।
এনআরসির বরাত পাওয়া উইপ্রোকে আগাম ৫২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকার সুদ নষ্ট হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নাগরিক সেবাকেন্দ্র চালু করতে না পারলেও তাদের কাছ থেকে ২ কোটি ৯১ লক্ষ টাকার জরিমানা নেওয়া হয়নি। আগাম সমীক্ষার ভুলে দেড় হাজারের বদলে আড়াই হাজার সেবাকেন্দ্র তৈরি করতে হয়। ওর্যাকল সফ্টঅয়্যার কেনা বাবদ ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হলেও এনআরসি-র সিস্টেমে ওই সফ্টঅয়্যারের কোনও সন্ধানই মেলেনি। বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে প্রিন্টারের কালি কেনায় ১৯ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, উইপ্রো যে নিউজেন ওমনিফ্লো সফ্টঅয়্যার কেনা বাবদ ৬৯ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা নিয়েছে সেই সফ্টঅয়্যারের মালিকানা নিউজেনের হাতেই রয়েছে। আইটি পরিকাঠামোর জন্য ল্যাপটপ, ক্যামেরা, স্ক্যানার, প্রিন্টার, ওয়েবক্যাম ইত্যাদি বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে কেনা হয়েছে। সেগুলির চালান ও ক্যাশমেমোও জমা দেওয়া হয়নি। এনআরসির বিভিন্ন সামগ্রী কেনায় বড় গরমিল ও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে এনআরসি মামলার মূল আবেদনকারী অসম পাবলিক ওয়ার্কস ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছে।