চলন্ত গাড়ির বনেটে উঠে এইভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন ব্রিজপাল। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
চলন্ত গাড়ির বনেটে উঠে তারস্বরে চেঁচাচ্ছেন এক গ্রামবাসী। মুখে স্লোগান, তাঁদের দাবি মানতেই হবে। এ দিকে গাড়িও চলছে দুরন্ত গতিতে। চালক এক জন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী। বিক্ষোভকারীর এ হেন আচরণে তাঁর অবস্থা তখন তথৈবচ।
শেষ পর্যন্ত গাড়ি থামল। গাড়ি থেকে নামলেন চালক। নামানো হল বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীকেও। ঘটনাস্থলে তখন মেলা ভিড়। হাজির পুলিশকর্তারাও। বাকি বিক্ষোভকারীরাও গাড়িকে ধাওয়া করে পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে।
শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীর দাবি গাড়ির চালক ওই সরকারি কর্মচারী মেনে নিয়েছিলেন কি না জানা নেই, তবে পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনেই একে অন্যের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের একটি ছোট্ট শহর রামনগরের। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার সকাল থেকেই রামনগরের বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন জনাকয়েক গ্রামবাসী। গ্রামে শৌচাগার তৈরির সরকারি অনুদানের দাবি জানাতেই বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ ছিল, বিডিও পঙ্কজ কুমার গৌতম অফিসের ভিতরে থাকলেও বাইরে এসে তাঁদের দাবি শোনেননি।
দেখুন ভিডিও:
আরও পড়ুন:
দারিয়া কি নিছক এসকর্ট, ইউক্রেন সুন্দরী এখন ঘুম কেড়েছে গোয়েন্দাদের
বিচার পাবেই আসিফা, টুইট ভি কে সিংহের
ওই ভাবেই কেটে যায় কয়েক ঘণ্টা। শেষে অফিসের বাইরে বার হন বিডিও। এবং, গ্রামবাসীদের দিকে না তাকিয়েই প্রায় ঝড়ের গতিতে অফিস থেকে কয়েক পা দূরে পার্ক করা তাঁর গাড়ির দিকে ছুটে যান। বিডিওকে অনুসরণ করেন বিক্ষোভকারীরাও। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কয়েক জন আবার বসে পড়েন গাড়ির সামনেই। গাড়ি চলতে শুরু করলেই ব্রিজপাল নামে এক গ্রামবাসী ঝাঁপিয়ে গাড়ির বনেটে উঠে যান। কোনও রকমে বনেট আঁকড়ে ধরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ব্রিজকে নিয়েই গাড়ি পাড়ি দেয় প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা। শেষে গাড়ি থামিয়ে নিস্তার পান বিডিও।
জেলাশাসক বীরেন্দ্র কুমার সিংহ জানিয়েছেন, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। দু’তরফের অভিযোগই খতিয়ে দেখা হবে।