Digital Arrest Case

১১ দিন ধরে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ বেঙ্গালুরুর বধূ! ‘মুক্তি’ পেতে ভাঙতে হল তিনটি ফিক্সড ডিপোজ়িট

১১ দিন ধরে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার করে রাখা হয়েছিল’ বেঙ্গালুরুর এক মহিলাকে। কখনও পুলিশ, কখনও আবার সিবিআই আধিকারিক সেজে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রতারকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১৬
Share:

‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর ফাঁদে পড়লেন বেঙ্গালুরুর এক মহিলা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন। গ্রাফিক সহায়তা: এআই।

বেঙ্গালুরুর এক বধূকে ১১ দিন ধরে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে রাখার অভিযোগ উঠল সাইবার প্রতারকদের বিরুদ্ধে। তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে চলে ভুয়ো জিজ্ঞাসাবাদ। পরিস্থিতির চাপে পড়ে প্রতারকদের দাবি মতো টাকা দেওয়ার জন্য তিনটি ফিক্সড ডিপোজ়িট ভাঙতে হয় বছর ছেচল্লিশের ওই মহিলাকে। অভিযোগ, ধাপে ধাপে তাঁর থেকে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারকেরা।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত, গত ৩ ডিসেম্বর। প্রথমে তাঁর কাছে ফোন আসে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকের পরিচয়ে। এর পরে মুম্বই পুলিশের আধিকারিকের পরিচয়ে। তৃতীয় বারে আসে ভিডিয়ো কল। এ বার প্রতারক নিজের পরিচয় দেন সিবিআই আধিকারিক বলে।

তিন বার তিন আলাদা আলাদা পরিচয়ে ওই বধূর সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রতারকেরা। প্রথমে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে তাঁকে বলা হয়, মুম্বইয়ে তাঁর নামে একটি এফআইআর রুজু হয়েছে। তাঁর নামে তোলা সিম ব্যবহার করে নাকি আপত্তিকর মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। দ্বিতীয় ফোনটি আসে মুম্বইয়ের পন্থনগর থানার এক সাব ইনস্পেক্টরের পরিচয়ে। অভিযোগ, দ্বিতীয় বার তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পর বলা হয়, পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মুম্বইয়ের ওই থানায় হাজিরা দিতে হবে। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় মহিলাকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার করে প্রতারকেরা’। ঘটনার কথা তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যেরা কেউ টেরই পাননি।

Advertisement

এর পরে সিবিআইয়ের এসিপি সেজে এক প্রতারক ভিডিয়ো কল করেন মহিলাকে। একটি আর্থিক দুর্নীতির ভুয়ো মামলা সাজিয়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে অভিযোগ। শেষে তথ্য যাচাই করার জন্য তাঁকে টাকা পাঠাতে বলা হয়। সেই মতো প্রথমে ৯৯ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন ওই মহিলা। এর পর প্রতারকদের দাবি পূরণ করতে নিজের তিনটি ফিক্সড ডিপোজ়িট ভেঙে ফেলতে হয় তাঁকে। ১০ লাখ টাকা, ৯ লাখ টাকা এবং সাড়ে ৮ লাখ টাকার তিনটি ফিক্সড ডিপোজ়িট ভেঙে টাকা দেন প্রতারকদের। শেষে ১৩ এবং ১৪ ডিসেম্বর আরও ৯০ হাজার টাকা পাঠান। তার পরের দিন থেকেই প্রতারকদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি ওই মহিলা।

প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ জানান বেঙ্গালুরুর ওই মহিলা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক সফ্‌টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও একই ভাবে প্রতারকদের ফাঁদে পড়েন। তাঁকেও এই একই ভাবে ডিজিটাল গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতারকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement