শাটারস্টক থেকে নেওয়া প্রতীকী চিত্র।
বছর উনিশের এক মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তাঁর প্রাক্তন প্রেমিককে। ওই মহিলা কিছু দিন আগে স্টেট ব্যাঙ্কে কাজ করতে শুরু করেন। তার পর থেকেই নাকি ওই যুবকের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই রাগেই নাকি ওই মহিলাকে খুন করেন তাঁর প্রথম প্রেমিক। খুনের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ওই যুবক। অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, স্নেহলতা এবং রাজেশের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। রাজেশ রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। পুলিশ জানিয়েছে গত এক বছরে রাজেশ আর স্নেহলতার মধ্যে ১ হাজার ৬১৮ বার ফোনে কথা হয়েছে। কিছু দিন আগে স্নেহলতা স্টেট ব্যাঙ্কে চুক্তি ভিত্তিক কাজে যোগ দেন। অভিযোগ তার পর থেকেই নাকি রাজেশের থেকে স্নেহলতা দূরত্ব বজায় রাখছিলেন। পাশাপাশি প্রবীণ নামে স্নেহলতার এক কলেজের বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছিল। সে কথাই জানতে পারেন রাজেশ। অভিযোগ এর পরই স্নেহলতাকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজেশ দেখা করার নাম করে স্নেহলতাকে ডেকে পাঠান। স্নেহলতাকে বাইকে চাপিয়ে বদনপল্লী নামের একটি জায়গায় পৌঁছে যান। সেখানে মাঠের ধারে বাইক থামিয়ে কথা বলতে শুরু করেন স্নেহলতা এবং রাজেশ। সেখানে ফের প্রবীণের বিষয়টি আসে। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে রীতিমতো ঝগড়া শুরু হয়। এর পর শ্বাস রোধ করে স্নেহলতাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাঙ্কের কাগজপত্রে আগুন ধরিয়ে তা স্নেহলতার গায়ে দিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লেগে স্নেহলতার দেহ বেশ কিছুটা পুড়ে গিয়েছে। তবে স্নেহলতার শরীরের যৌন নির্যাতনের কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে জানিয়েছেন, সিনিয়র পুলিশ অফিসার ভুসারাপু সত্য ইয়েসু বাবা।
অফিস শেষের দীর্ঘক্ষণ পরেও বাড়ি না ফেরায় স্নেহলতার পরিবার পুলিশে খবর দেয়। এর পর পুলিশ তল্লাশিতে বেরিয়ে তার কর্মস্থল থেকে আনুমানিক ২৫ কিলোমিটার দূরে তার দেহ উদ্ধার করে। স্নেহলতার পরিবার আরও জানায় রাজেশ মাঝে মাঝে পিছু নিত। স্নেহলতার মা কার্তিক নামেও এক যুবকের নাম নেন যিনি আবার রাজেশের বন্ধু। এই খুনে কার্তিকেরও হাত রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে স্নেহলতার পরিবারের তরফে। পুলিশ কার্তিকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে। তবে ধরা পড়ার পর রাজেশ খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।