মাদকবিরোধী অভিযান আরও তীব্র করল কাছাড় পুলিশ। এক দিকে চোরাকারবারিদের ধরতে চলছে তল্লাশি, অন্য দিকে মাদকদ্রব্য থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ আজ অভিযান চালায় শিলচর শহরের চামড়াগুদাম এলাকায়। রকি লস্কর নামে এক মাদক চোরাকারবারির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। পুলিশ সুপার রজবীর সিংহ জানান, রকিকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৪টি মোবাইল সেট, ৪৫টি সিমকার্ড, সওয়া ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৯ হাজার ২০০ টাকা, ২ জোড়া সেনা পোশাক ও বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ৭টি এটিএম কার্ড। পুলিশ রকির বাবা ফয়জুর লস্করকে থানায় তুলে এনেছে। তিনি আশাবাদী, রকিকে শীঘ্র জালে ঢোকানো সম্ভব হবে। পুলিশের অন্য সূত্র জানিয়েছেন, রকি ছিল ছিঁচকে চোর। পরে মাদকদ্রব্যের নেশায় জড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেই চোরাকারবারের হদিস পেয়ে যায়। আজ তার বাড়ি থেকে কিছু চুরির সামগ্রী মিলেছে বলেও সূত্রটি জানান। গত কাল ধৃত মাদক ব্যবসায়ী মুহিব আলি বড়লস্করের বাড়ির কাছে, কদমতলায় পুলিশ এ দিন সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করে। ডিএসপি সুধাংশুকুমার দাস, ওসি শচীন্দ্রচন্দ্র শর্মা এবং এলাকার বিশিষ্টজনরা মাদকদ্রব্যের কুফল নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন চোরাকারবারিদের উদাহরণ টেনে পুলিশকর্তারা শোনান, নেশার কবলে পড়ে কী করে তাদের চোরাকারবারে জড়াতে হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে, জেলে দিন কাটাতে হয়। তাঁরা মাদক-নেশা থেকে দূরে থাকতে সকলকে পরামর্শ দেন। মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশকে সহায়তার জন্য এলাকাবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানান। সঙ্গে স্বীকার করেন, এলাকাবাসী উদ্যোগ নেওয়াতেই মুহিব ধরা পড়েছে।