প্রতীকী ছবি।
রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সাত বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। চার দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার তার বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে একটি আখখেত থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রবিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ ডিসেম্বর বাড়ির পাশেই রাস্তায় খেলতে বেরিয়েছিল মেয়েটি। আর বাড়ি ফেরেনি সে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে যাওয়ায় নাবালিকার পরিবার পুলিশে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দু’টি দল গঠন করে মেয়েটির সন্ধানে নামে। দু’দিন ধরে খোঁজার পর কোনও হদিশ পায়নি তারা। শুক্রবার রাতে এক কৃষক আখখেতের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি পচা গন্ধ পান। কোথা থেকে গন্ধ আসছে তা খুঁজে দেখতে গিয়েই চমকে ওঠেন। একটি মেয়ের পচাগলা দেহ দেখেই গ্রামবাসী এবং পুলিশে খবর দেন। এর পরই পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।
মোরাদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিদ্যাসাগর মিশ্র সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নাবালিকার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।
একটি দলিত পরিবারের তিন ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল ওই নাবালিকা। তার বাবা সব্জি বেচে সংসার চালান। নাবালিকার মা বলেন, “দু’দিন ধরে পাগলের মতো মেয়েকে খুঁজে বেরিয়েছি। কোথাও পাইনি। পরে জানতে পারলাম একটি আখখেতে মেয়ের দেহ পাওয়া গিয়েছে। যারা আমার মেয়ের এই হাল করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।”