—প্রতীকী ছবি
সাতসকালে পরীক্ষার খাতা দেখতে গিয়ে চোখ কপাল ছাড়িয়ে আরও উপরে ওঠার জোগাড় শিক্ষিকার! দেখতে বসেছিলেন বোর্ডের রসায়ন পরীক্ষার খাতা। কিন্তু, খাতায় এ কী লিখেছে পরীক্ষার্থী!
রাসায়নিক সমীকরণ তো দূরস্থান, একটা প্রশ্নেরও এক লাইন উত্তর নেই সেখানে। তার বদলে, পরীক্ষার খাতা জুড়ে কেবলই কল্পনারা দৌড়েছে। রসায়নের প্রশ্নের জবাবে খাতায় কাল্পনিক ‘যৌন রূপকথা’ লিখেছে ওই ছাত্র।। শুধু কল্পনার জাল নয়, সেখানে বাস্তবের দুই চরিত্রকেও হাজির করেছে সে। তাদের নিয়েই রগরগে কাহিনির পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা গোটা খাতায়।
গুজরাত বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ওই উত্তরপত্র দেখে রাজ্যের ‘সেকেন্ডারি অ্যান্ড হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড’(জিএসএইচএসইবি) কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান ওই শিক্ষিকা। এর পরেই ওই পরীক্ষার্থীকে ডেকে পাঠায় বোর্ড। উত্তরপত্রে এ সব লেখার জন্য তার কাছে জবাবদিবি চাওয়া হয়। বোর্ড সূত্রে খবর, ওই পরীক্ষার্থীর রসায়নের উত্তরপত্র বাতিল করা হয়েছে। পরের বছর তাকে ফের ওই পরীক্ষা দিতে হবে। জিএসএইচএসইবি-র চেয়ারম্যান এ জে শাহ জানান, ওই পরীক্ষার্থী মানসিক ভাবে অসুস্থ। পুরো বিষয়টিই তার বাবা-মাকে জানানো হয়েছে। তাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এই বাড়িতে থাকলে একসঙ্গে দু’টি দেশের নাগরিক হতে হবে আপনাকে!
পরীক্ষার খাতায় এমনটা কেন লিখল ওই ছাত্র? এর পিছনে কি মানসিক সমস্যাই দায়ী?
মনোসমাজকর্মী মোহিত রণদীপের মতে, অনেক সময় স্কিৎজোফ্রেনিয়া বা সাইকোসিস-এর মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিলে অনেকে বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তাঁর কথায়, ‘‘ওই ছাত্রটি যদি সেই সময়ে বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরপত্রে ‘যৌন ফ্যান্টাসি’ লিখে থাকে, তা হলে তার মানসিক অসুস্থতা থাকার সম্ভাবনা প্রবল। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রয়োজন।’’ তবে ওই ছাত্রকে সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষণ না করে তাঁকে মানসিক ভাবে অসুস্থ বলতে নারাজ মোহিতবাবু। তিনি বলেন, ‘‘হতে পারে, ওই ছাত্রটি ইচ্ছাকৃত ভাবেই খাতায় অমনটা লিখেছে। এটাও এক ধরনের প্রবণতা। সেই প্রবণতার সঙ্গে মানসিক সমস্যার কিন্তু কোনও যোগ নেই।’’