Car Thief

বাড়িতে ২৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে পুলিশের উপর নজরদারি চোরের!

পুলিশের খাতায় গাড়ি-চোর হিসাবে লাল কালিতে নাম সইদ ইউসুফের। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে পুণে সিটি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গত সপ্তাহে জুনাবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে তাকে ।কিন্তু কে এই সইদ ওরফে শাকিল

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৭ ১২:৪৯
Share:

পুলিশের উপর নজরদারি!

পুলিশের খাতায় গাড়ি-চোর হিসাবে লাল কালিতে নাম সইদ ইউসুফের। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে পুণে সিটি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গত সপ্তাহে জুনাবাজার থেকে গ্রেফতার করেছে তাকে ।

Advertisement

কিন্তু কে এই সইদ ওরফে শাকিল?

আরও পড়ুন- কোলে ঘুমন্ত ছেলেকে নিয়েই সারা দিন অটো চালান মহম্মদ সইদ!

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের বুলধানা জেলার ইকবালচকের বাসিন্দা শাকিল। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। তিন বছর বুলধানার রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও)-এ এজেন্ট হিসাবে কাজ করেছে। তার পর হঠাত্ই সে বড়সড় গাড়ি চোর হিসাবে নাম করে ফেলে পুলিশ মহলে। এমনকী তাকে ধরতে পুলিশকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে বার বার। ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর নিতিন ভোঁসলে পাতিল বলেন, “শাকিলকে তো এক বার প্রায় হাতেনাতে ধরেই ফেলেছিলেন এক পুলিশ কর্মী। কিন্তু ফসকে যায়। পরে, ওই পুলিশ কর্মীকে ফোন করে শাকিল জানায়, ‘ডন কো পাকড়ানা মুশকিল হি নেহি, নামুমকিন হ্যায়’।”

বুলধানা জেলার ইকবাল চকে ডন নামেই পরিচিত শাকিল। সেখানে তার তিন তলা বাড়ি রয়েছে। বাড়িতে লাগানো আছে ২৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা। বাড়ির ভিতর কে ঢুকছে, কে বেরচ্ছে, এমনকী তার বাড়িতে পুলিশ নজর রাখছে কি না, সর্ব ক্ষণ তদারকি করছে এই ক্যামেরাগুলি। এই বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকে শাকিল। প্রথম স্ত্রী থাকেন অন্য জায়গায়।

শাকিলের বাড়িতে এত সিসিটিভি থাকার কারণ কী? পুলিশের দাবি, তার বাড়ির চারপাশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে বাড়িতে বসেই পুলিশের সর্ব ক্ষণ নজর রাখে সে। পুলিশ যদি হানা দেয়, তার বাড়ির পিছনে রয়েছে পাঁচটি পালানোর রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়েই বার বার চম্পট দিয়েছে শাকিল।

ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের কর্তা পঙ্কজ ধাহানে জানান, ইনোভা, এসইউভি-র মতো দামি গাড়ি চুরি করেন সইদ। যেগুলোর সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি হিসাবে বিক্রি হলেও ভাল দাম পায় সে। শাকিলের বিরুদ্ধে ১২টি গাড়ি চুরির অভিযোগ রয়েছে। ধাহানে আরও জানান, মধ্যপ্রদেশের চিনচোর থেকে গাড়ি চুরি করলে শাকিল হায়দরাবাদে গিয়ে গাড়ি বিক্রি করে। তল্লাশি চালিয়ে হায়দরাবাদ এবং অওরঙ্গাবাদ থেকে দু’টি ইনোভা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কিন্তু কী ভাবে এই গাড়ি চুরি করে শাকিল? তারও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে পুলিশ। তাদের মতে, নকল ঠিকানা বানিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে প্রাইভেট গাড়ি বুকিং করেন শাকিল। এর পর সেই গাড়ি করে বেশ কিছু দূর গিয়ে ড্রাইভারকে বলে, জল বা খাবার আনতে। এয়ারকন্ডিশনার অন করে রেখে যেতে বলেন। যে সময় ড্রাইভার খাবার আনতে যায়, গাড়ি নিয়ে চম্পদ দেয় শাকিল। আরটিও অফিসে কাজ করার সুবাদে, গাড়ির কাগজপত্র জাল করতেও অসুবিধা হয় না শাকিলের, বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশ বেশ কিছু দিন ধরে ছদ্মবেশে তার বাড়ির দিকে নজর রেখেছিল। স্থানীয় কয়েকটি ছেলের সাহায্য নিয়ে শাকিলের গতিবিধি লক্ষ রেখেছিল পুলিশ। তার বাড়ি থেকে বেশ কিছু শাকিলের ফোটোগ্রাফ উদ্ধার করে তারা। সে সব ছবি দেখে কার্যত হতভম্ভ খোদ ক্রাইম ব্র্যাঞ্চও। সে সব ছবিতে শাকিলের এমন মেকআপ যে আসল ডন-কে চেনাই দায়!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement