—প্রতীকী ছবি।
রাজস্থানে কুয়ো থেকে উদ্ধার হল এক স্কুলছাত্রীর দেহ। ছাত্রীটির পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক স্কুলশিক্ষকের দিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই রাজস্থান পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সরকারি স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়েরাও।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজস্থানের সোয়াই মাধোপুর জেলার একটি কুয়ো থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। গত ৮ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল সে। আগেই অভিযুক্ত শিক্ষক রামরতন মিনার বিরুদ্ধে স্থানীয় বোনলি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ছাত্রীটির বাবা।
এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই ছাত্রীটির দেহ সংশ্লিষ্ট স্কুলের মাঠে ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়েরা। তাঁরা ক্ষতিপূরণ এবং শীর্ষ পুলিশ পদাধিকারীর নেতৃত্বে তদন্তের দাবি তোলেন। স্কুলটির সব স্কুলশিক্ষককে বরখাস্ত করারও দাবি ওঠে। বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতে পারেনি পুলিশ। স্কুলটির তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতরও শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটমুখী রাজস্থানে। কংগ্রেস শাসনে রাজ্যের মেয়েরা সুরক্ষিত নয় বলে সে রাজ্যের অশোক গহলৌত সরকারকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। কিছু দিন আগেই রাজস্থানের ভিলাওয়াড়ায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হওয়ার পরেও তা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাজস্থানে নারী নির্যাতন নিয়ে মুখ খোলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।