মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ ধানবাদের ব্যাঙ্ক মোড়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখায় ছয় দুষ্কৃতীর দলটি হামলা করে।
ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে এসেছিল ছ’জনের একটি দল। সকাল ১১টা নাগাদ তারা ব্যাঙ্কে প্রবেশ করে। ম্যানেজারকে ঘেরাও করে রেখে লুটপাটও শুরু করে। কিন্তু আচমকাই সেখানে পুলিশ চলে আসায় বানচাল হয়ে যায় ডাকাতির ছক। এর পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ব্যাঙ্ক চত্বর থেকে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতেরা। পুলিশও তত ক্ষণে চারপাশ থেকে ব্যাঙ্কটিকে ঘিরে ফেলেছে। শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। পুলিশের গুলিতে ডাকাত দলের এক জনের মৃত্যু হয়। দু’জনকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি তিন জন পালিয়ে যায়।
‘মানি হাইস্ট’-এর চিত্রনাট্য থেকে ছেঁকে তোলা দৃশ্য মনে হতে পারে। কিন্তু ব্যাঙ্ক ডাকাতির এই ঘটনা এবং তার পরের নাটকীয় অভিযান ঘটেছে বাস্তবে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ ধানবাদের ব্যাঙ্ক মোড়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখায় ছয় দুষ্কৃতীর দলটি হামলা করে। গ্রাহক সেজে তারা ঢুকেছিল ব্যাঙ্কে। কিন্তু পরে তাদের কাছে অস্ত্র দেখে ব্যাঙ্কের রক্ষীরা বাধা দিতে পারেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের ভিতরেও ম্যানেজারকে ঘিরে ধরে মারধর করে ডাকাতেরা। একটি দল টাকা লুঠ করতে শুরু করে। বাইরে পাহারায় ছিল আরেক দল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে প্রথমে তারাই সতর্ক করে ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা সঙ্গীদের, তারপরই গুলির লড়াই শুরু হয় বলে সূত্রের খবর।
যে ব্যাঙ্কের শাখায় ওই হামলা হয়, সেটি একটি স্বর্ণঋণ প্রদানকারী শাখা। ধানবাদ পুলিশ জানিয়েছে, সময় মতো খবর পেয়ে যাওয়াতেই সময়ে অভিযান চালাতে পেরেছে তারা। ধানবাদের পুলিশ সুপার সঞ্জীব কুমারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশের একটি বড় দল। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ ঢুকতেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে ডাকাতদল।
উল্লেখ্য গত ৩ সেপ্টেম্বর ধানবাদেরই এক সোনার দোকানে ডাকাতি ঘটনা ঘটে। বহু টাকার সম্পত্তি লুট হয়। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। দুই দোকানদার জখম হয়েছিলেন সেদিন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার স্বর্ণঋণ প্রদানকারী শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটল। এই ঘটনার আগে গত কয়েক বছরে মুথুট ফাইন্যান্স আাসানসোল আশ্রম মোড়ে দুপুরবেলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। বিহারের সুবোধ গ্যাং এই ঘটনার পেছনে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। আসানসোলেও এই একই দলের যাতায়াত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।