শারজা থেকে একটি বিমানে কোয়েম্বাত্তূরে নেমেছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক আনওয়ার হুসেন। ছবি: সংগৃহীত।
জাল পাসপোর্ট তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়েছিল। কিন্তু জাতীয়তা বোধের পরীক্ষায় আটকে গেলেন পরিচয় গোপনকারী। ভুয়ো পরিচয়পত্রে ভারতে থাকা এক বাংলাদেশি নাগরিক খুব সাধারণ একটি যাচাই পরীক্ষায় উতরোতে না পেরে ধরা পড়ে গেলেন অভিবাসন দফতরের কাছে। তাঁকে বিমানবন্দরে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলা হয়েছিল।
সোমবারের ঘটনা। শারজা থেকে একটি বিমানে কোয়েম্বাত্তূরে নেমেছিলেন ওই বাংলাদেশি নাগরিক। যদিও তখন নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসাবেই দাবি করেছেন তিনি। তাঁর পাসপোর্ট এবং জন্মের শংসাপত্র দেখতে চাওয়ায় সেই নথি পেশ করেছেন। ভারত সরকারের নামাঙ্কিত পরিচয়পত্রে কোনও গোলমাল খুঁজে পাননি অভিবাসন কর্তারা। কিন্তু তার পরও সন্দেহ না যাওয়ায় তাঁকে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন।
বাংলাদেশের নাগরিকের ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত জানার কথা নয়। যদিও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’র লেখক ভারতেরই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন...’ তাঁরই লেখা। দুই বাংলায় জনপ্রিয় কবি হওয়ায় বাংলাদেশে ‘জন গণ মন’ গানটি অনেকেই জানেন। তবে ইনি জানতেন না। তাতে সুবিধাই হয় কোয়েম্বত্তূর বিমানবন্দরের অভিবাসন কর্তাদের।
বাংলাদেশের ওই নাগরিক গানটি গাইতে না পারায় তাঁর বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয় স্থানীয় পীলামেদু থানায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই বাংলাদেশির নাম আনওয়ার হুসেন। বয়স ২৮ বছর। তিনি কী করে ভারত সরকারের নামাঙ্কিত পাসপোর্ট এবং পরিচয়পত্রের অন্যান্য নথি জাল করলেন, কেনই বা করলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।