National Crime Records Bureau

দিনে ৯১টি ধর্ষণ দেশে, বলছে কেন্দ্রীয় সমীক্ষা

এনসিআরবি যে পরিসংখ্যান পেশ করছে, তা কেবল এফআইআর-এর ভিত্তিতেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রতিদিন ৯১টি ধর্ষণ, ৮০টি খুন আর ২৮৯টি অপহরণ। ২০১৮ সালের নথিভুক্ত অভিযোগের খতিয়ান এ রকমই। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো (এনসিআরবি) ২০১৮ সালের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে সামনে এসেছে এই পরিসংখ্যান। যদিও বাস্তবের ছবিটা এর থেকে আরও অনেকটাই ভয়াবহ, সেটাও মানছেন এনসিআরবি আধিকারিকরাই।

Advertisement

কেন? এনসিআরবি নিজেই জানিয়েছে, মৌখিক অভিযোগের মাত্র ১ শতাংশই শেষ পর্যন্ত এফআইআর পর্যন্ত গড়িয়েছে। এনসিআরবি যে পরিসংখ্যান পেশ করছে, তা কেবল এফআইআর-এর ভিত্তিতেই। এনসিআরবি-র নথি বলছে, থানায় যে লিখিত অভিযোগ (জেনারেল ডায়েরি) করা হয়, তার মধ্যে ৬০ শতাংশের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত এফআইআর করে তদন্তে নামে পুলিশ। এনসিআরবি-র দাবি, সব অভিযোগ এফআইআর হলে বাস্তবে ধর্ষণ, ডাকাতি বা খুনের ঘটনার সংখ্যা আরও বেড়ে যেত। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে ১.৩ % ফৌজদারি অভিযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর মধ্যে ধর্ষণের পরিসংখ্যান আলাদা করে ভাবাচ্ছে বিভিন্ন মহলকে। নির্ভয়ার ঘটনার পরে ধর্ষণকারীদের কঠোরতর শাস্তির লক্ষ্যে ফৌজদারি আইনে পরিবর্তন আনা হয়। তার পরে প্রায় পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। ধর্ষণের সংখ্যা কমার তো লক্ষণই নেই, উল্টে বাড়ছে। এনসিআরবি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে দেশে ৩৩,৩৫৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যা আগের বছরের চেয়ে ৭৯৭টি বেশি। সার্বিক ভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা এক বছরে বেড়েছে প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফাঁসি রদের আবেদন মুকেশ, বিনয়ের

এই মুহূর্তে ফাঁসির অপেক্ষায় দিন গুনছে নির্ভয়ার ধর্ষক-খুনিরা। এর মধ্যে কখনও কাঠুয়া, কখনও উন্নাও কখনও তেলঙ্গানা ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে দেশ। কিন্তু শাস্তির ভয় দেখিয়ে অপরাধ আদৌ কমানো যায় কি না, এনসিআরবি-র রিপোর্ট সেই প্রশ্ন নতুন করে তুলে দিল। আজই ধর্ষণের মামলায় দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার জন্যে ৭টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গড়বে বলেছে পঞ্জাবে সরকার। কিন্তু অপরাধে বেড়ি পরানো যাবে কোন পথে, তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে। গত এক বছরে গোটা দেশে অপহরণের সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যাওয়াতেও উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। খুনের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড় শতাংশ। ২০১৮ সালে দেশে ২৯,০১৭টি খুনের ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ খুনের পিছনে রয়েছে মনোমালিন্য ও বিবাদ। ১০ শতাংশ খুনের পিছনে দায়ী ব্যক্তিগত শত্রুতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement