National News

অ্যাপ তৈরি করে সহপাঠীদের হাতে হেনস্থার জবাব খুদে ছাত্রীর

মেঘালয়ের শিলংয়ের বাসিন্দা, নোংথাম্মাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর এই উদ্ভাবন হোয়াইট হ্যাট জুনিয়র প্রতিযোগিতায় বিশ্বের প্রথম ২০ জন শিশুর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

নার্সারি ক্লাসের সময় থেকেই সহপাঠীদের হাতে হেনস্থা হতে হয়েছিল ছোট্ট মিয়াইদাইবাহুন মাজাওকে। তখন থেকেই সে ভাবত কাউকে না জানিয়ে সরাসরি কী ভাবে প্রধান শিক্ষিকা, শ্রেণি-শিক্ষিকা বা অভিভাবকদের বিষয়টি জানানো যায়! শেষ পর্যন্ত ৯ বছরের মেয়েটা এমন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে ফেলল যার মাধ্যমে সেটাই সম্ভব হয়ে উঠবে।

Advertisement

মেঘালয়ের শিলংয়ের বাসিন্দা, নোংথাম্মাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর এই উদ্ভাবন হোয়াইট হ্যাট জুনিয়র প্রতিযোগিতায় বিশ্বের প্রথম ২০ জন শিশুর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। মাজাও জানায়, নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতাকেই সে অ্যাপ তৈরির কাজে লাগিয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে মাজাও হোয়াইট হ্যাট জুনিয়র নামে অনলাইন শিশু শিক্ষার পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে। সেখানেই বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অ্যাপ তৈরি শেখানো হয়।

ডিসেম্বরেই মধ্যে ‘অ্যান্টি-বুলিং অ্যাপ’ তৈরি করে ফেলে মাজাও। বিশ্বের সাত হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে প্রথম কুড়িতে স্থান পেয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন। শীঘ্রই গুগল প্লে স্টোরেও আসতে চলেছে মাজাওয়ের তৈরি অ্যাপটি। তার কথায়, সে এমনভাবে অ্যাপটি তৈরি করেছে যেখানে শুধু স্কুল নয়, কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও হেনস্থা ও বিদ্রুপের কথা তুলে ধরতে পারবে। রিপোর্ট করতে পারবে সাইবার হেনস্থার বিরুদ্ধেও।

Advertisement

আরও পড়ুন: মেয়ের সঙ্গে টিকটক ভিডিয়ো! উলঙ্গ করে যুবককে শহর ঘোরাল পরিবার

২০১৭ সালের ‘দ্য টিচার ফাউন্ডেশন’-এর সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে ৪২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী স্কুলে নিয়মিত ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার হয়। মাজাও বলছে, ‘‘চুপ করে না থেকে রুখে দাঁড়াতে হবে। যারা অন্যকে বিদ্রুপ করে তারা যেন মনে রাখে, এ ভাবে কখনও বিখ্যাত হওয়া যায় না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement