Food Delivery Agent

‘একা পেয়ে কোনায় টেনে নিয়ে যায়’! কিশোরীর মিথ্যা নালিশে খাবার সরবরাহকারী যুবককে বেধড়ক মার

টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে ওই যুবক বলেন, “অনেকে মিলে আমাকে মারধর করেন। জানি না, কেন কিশোরী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করল?”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২৩ ১৮:২৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

৮ বছরের এক কিশোরীর মিথ্যা অভিযোগে বেধড়ক মারধর করা হল খাবার সরবরাহকারী এক যুবককে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক সিটিতে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ইলেকট্রনিক সিটির একটি আবাসনে খাবার দিতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। খাবার পৌঁছে দিয়ে তিনি যখন আবাসন ছেড়ে বেরনোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখনই তাঁকে ঘিরে ধরেন আবাসনের কয়েক জন বাসিন্দা এবং নিরাপত্তারক্ষী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেধড়ক মারধর করা হয় ওই যুবককে। তার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে ১ কিশোরীর অভিভাবক অভিযোগ করেন, তাঁদের কন্যাকে জোর করে ছাদে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন খাবার সরবরাহকারী ওই যুবক।

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান যুবক। এর পরই পুলিশ ওই আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তখন দেখা যায়, যে সময়ের কথা বলা হয়েছিল, সেই সময় ওই যুবক আবাসনের বাইরেই ছিলেন। তা ছাড়া সিঁড়িতে একাই খেলতে দেখা গিয়েছে কিশোরীকে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর পুলিশ বুঝতে পারে যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

আসল ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর পাল্টা চাপে পড়ে যান কিশোরীর বাবা-মা। ইন্ডিয়া টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দম্পতি পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাঁদের অন্য সন্তানকে স্কুলবাসে তুলতে গিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটে ফিরে কন্যাকে খুঁজে না পেয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন। আধঘণ্টা ধরে খোঁজার পর সিঁড়িতে কন্যাকে খুঁজে পান। কী ভাবে এখানে এল সে, এ কথা জিজ্ঞাসা করায় কিশোরী বাবা-মায়ের কাছে দাবি করে, খাবার সরবরাহকারী যুবক তাঁকে ওখানে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। কন্যার মুখে এ কথা শুনেই নিরাপত্তারক্ষীকে ডাকেন ওই দম্পতি। আবাসনের আরও কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে ওই যুবককে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে ওই যুবক বলেন, “অনেকে মিলে আমাকে মারধর করেন। জানি না, কেন কিশোরী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করল? তবে পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। তারা সিসিটিভি খতিয়ে দেখে আসল ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছে। যদি সিসিটিভি না থাকত, তা হলে কী হত, ভেবেই শিউরে উঠছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement