— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
একই দিনে খাদ্যে বিষক্রিয়া বিহারের দুই জেলায়। বেত্তিয়া এবং নওয়াদা জেলায় বিষাক্ত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ৮১ জন। তাঁদের মধ্যে ছিল ১১ শিশুও। সকলে এখনও চিকিৎসাধীন।
বিহারের নওয়াদা জেলার এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবারে বিষক্রিয়ার জেরে শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন ১১ শিশু-সহ এক মহিলা। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দুপুরের খাবারে রান্না হয়েছিল খিচুড়ি। সেই খিচুড়ি খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুরা। তাদের নওয়াদা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অজয় কুমার বলেন, ‘‘নওয়াদা জেলার মাহুলি গ্রামের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সি ১১ জন শিশু। সেই সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলাও। স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’’ অজয় জানিয়েছেন, সকলেরই অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পরে জানা গিয়েছে, ওই খিচুড়িতে একটি টিকটিকি পড়েছিল। সেটি থেকেই বিষাক্ত হয়ে যায় খাবার।
অন্য দিকে, পশ্চিম চম্পারণের বেত্তিয়ার একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় ৭০ জন ছাত্র। হস্টেলের খাবার খাওয়ার পরেই একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। তাঁদেরকেও স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। অসুস্থ এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া অমিত কুমার বলেন, ‘‘আমরা শুক্রবার রাতে হস্টেলে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলাম। খাবারে ছিল মাংস-ভাত। তখনই এক সহপাঠী খাবারে টিকটিকি খুঁজে পায়। ততক্ষণে আমাদের অনেকেরই খাওয়া হয়ে গিয়েছে।’’
অসুস্থ আর এক ছাত্র পীযূষ কুমার জানান, শুক্রবার রাতে অন্তত ১৫০ জন ছাত্র ওই খাবার খেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৭০ জন। সকলেরই বমি, মাথা এবং পেটেব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। তাঁদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ছাত্রেরা এখনও চিকিৎসাধীন। এ ছাড়াও আরও যাঁরা যাঁরা ওই খাবার খেয়েছিলেন, তাঁদেরকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।